জাতীয়

অস্ট্রেলিয়ান সরকার বাংলাদেশের আদিবাসীদের মানবাধিকারের সুরক্ষা চায়

বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন এইচ.ই. জুলিয়া নিবলেট “আদিবাসীদের ভূমি অধিকার ও আদিবাসী হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার নেটওয়ার্ক শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় অংশ নিতে গত ২৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামে যান। সেখানে তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন ও অস্ট্রেলিয়া সরকার বাংলাদেশের আদিবাসীদের পাশে রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের আদিবাসীদের মানবাধিকার অবস্থার উন্নয়ন ও সুরক্ষা চাই। এ বিষয়ে স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অ্যাডভোকেসী, লবী করতে আদিবাসীদের আরো বেশি দক্ষ ও আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ান সরকার প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ‘অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ড’ বৃত্তি দিয়ে থাকে যেখানে কমপক্ষে ১০% আসন আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু আমি জেনে অত্যন্ত দুঃখিত যে, বর্মন কমিউনিটি থেকে এখনো একজনও এ বৃত্তি পায়নি। এজন্য ইচ্ছুক প্রার্থীদের এ বৃত্তির নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে এবং আই.ই.এল.টি.এস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম)-এর প্রয়োজনীয় স্কোর তোলাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। বর্মন কমিউনিটি থেকে কিভাবে তারা এ যোগ্যতা অর্জন করতে পারে সে সহযোগিতার কথা আমরা বিবেচনা করতে পারি।’

আলোচনা সভাটি আয়োজন করে কাপেং ফাউন্ডেশন, আদিবাসী জাগরণ সমিতি এবং গাজীপুর সম্মিলিত আদিবাসী পরিষদ। সম্মিলিত আদিবাসী পরিষদের সভাপতি সুরেন্দ্র চন্দ্র বর্মন-এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন এইচ.ই. জুলিয়া নিবলেট, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, কোঅর্ডিনেটর সোহেল হাজং, ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মিয়া, আদিবাসী জাগরণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক পীযুষ বর্মন, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক-এর কোঅর্ডিনেটর ফাল্গুনী ত্রিপুরা, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ। আলোচনা সভা শেষে মিস জুলিয়া নিবলেট একটি আদিবাসী বাড়িতে গিয়ে কোচ-বর্মন আদিবাসী নারীদের সাথে কথা বলেন এবং তাদের অবস্থার কথা জানতে চান।

Back to top button