হার নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছেন মাশরাফি মুর্তজারা
ব্যাটে-বলে দারুণ শুরুর পরও ধারাবাহিকতার অভাবে ভারতের কাছে ৯৫ রানে হারলো বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হার নিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করতে যাচ্ছেন মাশরাফি মুর্তজারা। আগামী রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আর ভারতের বিশ্বকাপ শুরু হবে ৫ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
বোলিংয়ে দারুণ শুরু করেও সেই ধারা ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ১০২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিল তারা। কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে লোকেশ রাহুলের ১৬৪ রানের জুটি ম্যাচ কেড়ে নেয়। দুজনের সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ৩৫৯ রানের বড় ইনিংস গড়ে ভারত। জবাবে ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
রুবেল হোসেন ও সাকিব আল হাসান দুটি করে উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে সেরা বোলার হলেও রান ধরে রাখতে পারেননি। ৯ বোলারকে ব্যবহার করেও ভারতের রানের লাগাম টেনে ধরতে পারেননি মাশরাফিরা। ধোনির ১১৩ রানের ইনিংস সেরা পারফরম্যান্স ছিল। সঙ্গে ১০৮ রান করে দারুণ অবদান রাখেন রাহুল।
লক্ষ্যে নেমে লিটন দাস ও সৌম্য সরকারের ব্যাটে আশা জাগানো শুরু করে বাংলাদেশ। কিন্তু তিন দফায় পরপর দুটি করে উইকেট হারায় তারা। লিটনের সঙ্গে সৌম্য ৪৯ রানের জুটি গড়ার পর মুশফিকুর রহিম দলীয় স্কোরবোর্ডে অবদান রাখেন। কিন্তু টানা তিনবার জোড়া ধাক্কার খেসারত দিয়েছে বাংলাদেশ নির্মমভাবে।
ভালো শুরুর পর পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জসপ্রীৎ বুমরাহর জোড়া আঘাতে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দশম ওভারের চতুর্থ বলে বুমরাহর বল সৌম্যর ব্যাটের কানায় লেগে দিনেশ কার্তিকের গ্লাভসে ধরা পড়ে। ২৯ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৫ রান করেন তিনি, ভাঙে ৪৯ রানের জুটি। পরের বলেই সাকিব আল হাসানকে বোল্ড করেন ভারতীয় পেসার।
এই জোড়া ধাক্কা বাংলাদেশ কাটিয়ে ওঠে মুশফিক ও লিটনের জুটিতে। একশ ছাড়ানো জুটি গড়ার পথে ২৪তম ওভারে যুজবেন্দ্র চাহালকে বাউন্ডারি মেরে হাফসেঞ্চুরি করেন লিটন। চার ওভার পর মুশফিকও পান ফিফটির দেখা, ৫৮ বল খেলে। চাহালের বলে ১২০ রানের এই জুটি ভাঙে লিটন ৭৩ রানে স্টাম্পিং হলে। ৯০ বলের ইনিংসে ১০টি চার মারেন বাংলাদেশি ওপেনার। পরের বলে মোহাম্মদ মিঠুন রানের খাতা না খুলে এলবিডাব্লিউ হন। কিছুক্ষণ পর কুলদীপ যাদবের কাছে বোল্ড হন মাহমুদউল্লাহ। তার ১২ বলের ইনিংসে ছিল একটি চার।
পরের জোড়া আঘাত হানেন কুলদীপ যাদব। ভারতের এই স্পিনার তার অষ্টম ওভারে মুশফিককে ৯০ রানে বোল্ড করেন। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান ৯৪ বলে ৮ চার ও ২ ছয় মারেন। পরের বলে স্টাম্পিং হয়ে শূন্য হাতে ফিরে যান ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল জেতানো মোসাদ্দেক হোসেন। পরের ওভারে রবীন্দ্র জাদেজা ৭ রানে সাব্বির রহমানকে বোল্ড করেন। কোনও রান না করতেই তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে লড়াই করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ২৫ বলে ১৮ রান করে চাহালের বলে কুলদীপের ক্যাচ হন তিনি। দুজনের জুটি ছিল ৪৬ রানের। মিরাজ ২৭ রানে রান আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
কুলদীপ ও চাহাল ভারতের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি পান বুমরাহ।
সূত্রঃ banglatribune.com