বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ-এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে সিপিবি আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তিনি আমৃত্যু অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবিচল ছিলেন। এ জন্য তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আজ ২৯ মে ২০২২, বিকেল ৫ টায়, ২ কমরেড মণি সিংহ রোডস্থ মুক্তিভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা কমরেড মনজুরুল আহসান খান, সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ, প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড শাহীন রহমান, কন্ট্রোল কমিশনের চেয়ারম্যান কমরেড মাহবুব আলম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড অনিরুদ্ধ দাশ অঞ্জন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড ডা. সাজেদুল হক রুবেল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড জলি তালুকদার, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মানবেন্দ্র দেব প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন সজ্জন ও বিনয়ী হিসেবে পরিচিত সৈয়দ আবু জাফর আহমদ আদর্শ ও নীতির প্রশ্নে দৃঢ় ছিলেন। দেশের সংকট মোচনে দ্বি-দলীয় ধারার বাইরে বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তুলতে তার ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
মহান মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা, গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে স্বাধীন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, তেল-গ্যাসসহ জাতীয় সম্পদ রক্ষা আন্দোলনে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
নেতৃবৃন্দ দেশের বর্তমান দুঃশাসনের অবসান, ব্যবস্থা বদল ও বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তুলে প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজনীতির দুর্বৃত্তায়িত ধারা রুখে দাঁড়াতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গণআন্দোলন, গণসংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শাসকরা নানা নামে দেশ শাসন করলেও মুক্ত বাজারের নামে লুটপাটতন্ত্র অব্যাহত রাখছে। এর বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধের ধারার সমাজতন্ত্রমুখী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
স্মরণসভার শুরুতে প্রয়াত কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
কমরেড সৈয়দ আবু জাফর আহমদ-এর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।