জাতীয়

বান্দরবানে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং তারিখে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখা কর্তৃক বান্দরবানে জেএসএস ও পিসিপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক সকল মামলা প্রত্যাহার করা ও বেআইনীভাবে গ্রেফতারকৃত পিসিপি নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবীতে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশটি ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুলভ চাকমার পরিচালনায় এবং সভাপতি ক্যারিংটন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক অমর শান্তি চাকমা, দপ্তর সম্পাদক নিপন ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক রিবেং দেওয়ান, পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অনন্ত বিকাশ ধামাই, বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি সুমন মারমা, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন(গাসু)র ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক, টনি ম্যাটিউ চিরান এবং হিল উইমেন্স ফেডারেশন, ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মনিরা ত্রিপুরা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি হয়েছিল পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত আদিবাসীদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য। আজ পার্বত্য চুক্তির ১৮ বছর অতিক্রান্ত হবার পরেও চুক্তির মৌলিক ধারাগুলোও বাস্তবায়ন না করে সরকার একের পর এক জুম্ম বিরোধী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পার্বত্য এলাকায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভরাডুবি অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নিরঙ্কুশ বিজয়ে ভীত হয়েই সরকার জনসংহতি সমিতির নেতাকর্মীদের উপড় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করছে।
বক্তারা আরো বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসন কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, বান্দরবান জেলা শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক বামং চিং মারমা কে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারসহ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বান্দরবান জেলা শাখার কার্যালয়ে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গভীর রাতে তল্লাশী অভিযান চালানো হয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বকে শূন্য করে দেওয়ার জন্য জেএসএসের নেতাকর্মীদের উপড় মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করা হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীদের উপড়ও শাসক গোষ্ঠীর এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড চলমান রয়েছে ।
সর্বোপরি, বান্দরবান জেলা জেএসএস ও পিসিপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বান্দরবানে জেএসএসের নেতৃত্বকে দুর্বল করে দেওয়ার হীনমানসিকতা নিয়ে প্রশাসন প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা, হামলা, তল্লাশী অভিযান, ভূমি বেদখলের মত ঘৃণ্য কর্মকান্ড করে চলেছে। গণতান্ত্রিক দেশে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রশাসনের এ ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডে বান্দরবানের আপামর জনসাধারণ গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের মধ্যে রয়েছে । অচিরেই বান্দরবানে জনসংহতি সমিতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের নেতাকর্মীদের উপর এ ধরণের অন্যায় তল্লাশী অভিযান, কার্যালয় ভাঙচুর, দলিলপত্র নিয়ে যাওয়া, দমন-পীড়ন হয়রানি বন্ধ করা না হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে বলেও বক্তারা হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

Back to top button