জাতীয়

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে ঐক্য পরিষদ ও পূজা পরিষদের প্রতিক্রিয়াঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আশু পদত্যাগের দাবি

পত্রিকান্তরে খবরে প্রকাশ, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গত ২২ জুন ২০২২ দিল্লিতে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মি. অজিত দোভালের সাথে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে নিজেই বিষয়টি অবতারণা করে বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও পূজামন্ডপে হামলা এবং ভাংচুর নিয়ে মিথ্যা প্রচারণা হয়। তিনি আরও বলেছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর প্রায় ৩৩ (তেত্রিশ) হাজার পূজামন্ডপ তৈরি করা হয়েছে। ঐক্য পরিষদ ও পূজা পরিষদ এই বক্তব্যকে মিথ্যাচার দাবি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিথ্যাচারের দায় মেনে নিয়ে আশু পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতিত্রয় ঊষাতন তালুকদার, অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক, মি. নির্মল রোজারিও ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার যৌথ বিবৃতিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপরোক্ত বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংব্বাদ মাধ্যমকে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, এর মধ্য দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেশুনে প্রকৃত সত্যের অপলাপ করেছেন এবং শাক দিয়ে মাছ ঢাকার নিস্ফল চেষ্টা করেছেন। প্রকৃত অর্থে ৭৫-র পরবর্তী সময় থেকে বিভিন্ন সময়ে এ দেশে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী বিশেষভাবে হিন্দু সম্প্রদায় এবং তাদের উপাসনালয় পূজামন্ডপ আক্রান্ত হয়ে চলেছে, যার বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়ে আসছে। প্রকৃত ঘটনা এর চেয়েও অনেক বেশি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত বছর শারদীয় দুর্গাপূজা চলকালীন পূর্বাপর সময়ে দেশে ২৬টি জেলায় সংঘটিত পূজামন্ডপে হামলার কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সারাদেশে “ধিক্কার মিছিল” অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এর পরেও তাঁর এ মিথ্যাচারে দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায় নিদারুণভাবে ক্ষুব্ধ । একই সাথে পররাষ্টমন্ত্রীর বক্তব্য, “সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এ বছর ৩৩ (তেত্রিশ) হাজার পূজামন্ডপ তৈরি করা হয়েছে” এটিও সত্যের অপলাপ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রতিটি পূজামন্ডপ ও পূজার সার্বিক আয়োজন উদ্যোক্তারা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে করে থাকে।

Back to top button