জাতীয়

দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে দেশে ফেরার পরদিন বৃহস্পতিবার ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এক লাখ টাকার মুচলেকায় তা মঞ্জুর করেন।

খালেদার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকার, আবদুর রেজাক খান, এ জে মোহাম্মদ আলী ও সানাউল্লাহ মিয়া। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদনে তার আইনজীবীরা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে বুধবার দেশে ফিরে বৃহস্পতিবারই আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে এসেছেন।

অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে দুদকের আইনজীবী কাজল বলেন, খালেদা জিয়া জামিনের শর্ত লঙ্ঘন করে বিদেশে গিয়েছিলেন। তাকে আবার জামিন দেওয়া ঠিক হবে না।

শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করে আদেশে বলেছে, ভবিষ্যতে মামলা চলাকালে খালেদা জিয়া আবারও বিদেশে যেতে চাইলে তাকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।
চোখ ও হাঁটুর চিকিৎসার কথা জানিয়ে গত ১৫ জুলাই লন্ডন গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাড়িতে পরিবারের অন্যদের সঙ্গে কোরবানির ঈদ করেন তিনি।
খালেদার বিদেশে অবস্থানের মধ্যেই নাশকতা ও মানহানির চার মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে; যার পেছনে সরকারের হাত রয়েছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “ওয়ারেন্ট ইস্যুটা অনেকটা রাজনৈতিক প্রভাবে ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের জন্য হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে হাজির না থাকায় গত ১২ অক্টোবর ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।

আর স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি করার অভিযোগে আরেক মামলায় সমন জারির পরও আদালতে না আসায় ওই দিনই বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার মহানগর হাকিম নূর নবী।

তার আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দুই বছর আগে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় গত ৯ অগাস্ট খালেদা জিয়াসহ ‘পলাতক’ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে কুমিল্লার জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

Back to top button