আন্তর্জাতিক

জেরুজালেম বাস্তবতা মেনে নিন, ফিলিস্তিনিদের প্রতি নেতানিয়াহু

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, শান্তির জন্য ফিলিস্তিনদের অবশ্যই বাস্তবতার মোকাবেলা করতে হবে। তিনি বলেন, ‘জেরুজালেমই ইসরায়েলের রাজধানী।’ সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব কথা জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে এক সাক্ষাতের পর একথা বলেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, ‘গত ৩০০০ বছর ধরেই জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী ছিলো এবং এটি কখনোই অন্য কারো রাজধানী ছিল না।’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইসারয়েলের প্রধানমন্ত্রীকে শান্তি প্রক্রিয়া ব্যাহত না করার অনুরোধ করেছেন। নেতানিয়াহুর বক্তব্যের সূত্র ধরে তিনি বলেন, ‘আমি তাকে বলছি, অনুগ্রহ করে শান্তি আনতে আরেকটি সুযোগ দিন। ফিলিস্তিনিদের কথা ভাবুন, শান্তি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে নেই। শান্তি রয়েছে দুই দেশের দুই নেতার হাতে— তাদের শান্তি স্থাপনের উদ্যোগের ওপর।’

বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর নিন্দার ঝড় ওঠে আন্তর্জাতিক মহল থেকে। উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো আন্তর্জাতিক জোট।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, অ্যান্থোনিও গুয়েতেরেস বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার উদ্যোগকে ঝুঁকিতে ফেলছে।

এছাড়া ফিলিস্তিনের রাজপথে নেমে এসেছে হাজার হাজার জনগণ। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করছেন তারা। তবে তাদের বাস্তবতা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

তিনি বলেন, ‘আপনারা এটা বাইবেলেও পাবেন। এই ইতিহাস ইহুদিদের মাঝেও পাবেন। জেরুজালেম ছাড়া ইসরায়েলের রাজধানী আর কোথায় হতে পারে।’

ফিলিস্তিনিরা যত দ্রুত বাস্তবতা মেনে নেবেন তত তাড়াতাড়িই শান্তি আসবে বলে দাবি করেন নেতানিয়াহু।
এদিকে ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, আলোচনার মাধ্যমেই কেবল এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। এছাড়া পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রের রাজধানী স্বীকৃতি দেয়ার জন্যও বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান আরব দেশগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী ২২টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা।
তথ্যসূত্রঃবিবিসি

Back to top button