গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোক্তা ড. কামাল হোসেন বলেছেন, আলোচনা ভালো হয়েছে। আমরা আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি তবে বিশেষ কোনো সমাধান পাইনি। তবে আলোচনায় সন্তুষ্ট নন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
সংলাপ শেষে বৃহস্পতিবার (০১ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ড. কামাল বলেন, একটা ব্যাপার ইতিবাচক। এটা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা সমাবেশে কোথাও কোনো বাধা থাকবে না আমাদের জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে নির্দেশও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ শেষে সন্তুষ্ট নন বলে জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সন্তুষ্ট নই। আলোচনা আরো চলবে।’
অন্যদিকে সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচনের যে দাবি বিরোধীদল করেছে, সে প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে সংবিধানের বাইরে গিয়ে কোন কিছু করা হবে না। খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি সংলাপে উঠেছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারে। তাই এই ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কিছু করার নেই।
ওবায়দুল কাদের জানান, নির্বাচনের সময়ে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়োগের ব্যাপারে সরকারের কোন আপত্তি নেই।
কিন্তু নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার দাবি ‘যৌক্তিক নয় বলে আওয়ামী লীগ মনে করে।
বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গণহারে মামলা দেয়ার প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, তারা এবিষয়ে বিরোধীদলের কাছ থেকে তালিকা চাইবেন। এবং তারা এগুলো খতিয়ে দেখবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আলোচনায় আওয়ামীলীগ ও ১৪ দলের পক্ষে যোগ দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, আবদুল মতিন খসরু ও রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল।
আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সংলাপে ঐক্য ফ্রন্টের হয়ে অংশ নেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোকাব্বির খান ও জগলুল হায়দার আফ্রিক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিকুল্লাহ, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস ও ড. আবদুল মঈন খান, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, সহসভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না ও এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আ ব ম মোস্তফা আমিন, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
