জাতীয়

কাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রয়াত অধ্যাপক অজয় রায়কে শ্রদ্ধা নিবেদন

বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড. অজয় রায় ৮৪ বছর বয়সে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বেলা সাড়ে বারোটার দিকে পরলোকগমণ করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন।

প্রফেসর রায় দীর্ঘকাল যাবৎ জটিল রোগে ভুগছিলেন। মুক্তচিন্তার লেখক অভিজিৎ রায় ঢাকার বইমেলা থেকে সস্ত্রীক ফেরার পথে জঙ্গীগোষ্ঠী কর্তৃক নির্মমভাবে হত্যার পুত্রশোকে পর তিনি আরে ভেঙ্গে পরেন এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেন। প্রফেসর ড. অজয় রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথিতযশা অধ্যাপক ছিলেন। পাকিস্তানী আমলে স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনে, বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে এবং স্বাধীন দেশের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলনের পথচলায় তিনি নির্ভিক ভূমিকা পালন করেছেন। ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সাথে প্রফেসর রায় যুক্ত ছিলেন। মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মুখপত্র ‘পরিষদ বার্তা’র তিনি শেষ জীবন পর্যন্ত সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

প্রফেসর রায়ের মরদেহ বারডেমের হিমাগারে রাখা হয়েছে। কাল সকাল ৯টায় সেখান থেকে তা তাঁর ঢাকার বেইলী রোডস্থ সিদ্ধেশ্বরী ইষ্টার্ন হাউজিং-র বাসভবনে নিয়ে আসা হবে। বেলা ১১টায় সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে সেখান থেকে তা নিয়ে আসা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে। বেলা ১২টার পর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল চত্বরে। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে পুণরায় বারডেম হাসপাতালে যাওয়া হবে। মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছায় প্রফেসর রায় তার মরদেহ ঐ হাসপাতালে দান করে গেছেন।

ঐক্য পরিষদের শোক

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব:) সি আর দত্ত বীর উত্তম, হিউবার্ট গোমেজ, সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রাণা দাশগুপ্ত আধ্যাপক অজয় রায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বলেছেন, তার মৃত্যুতে জাতি একজন নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিককে হারালো।

পরিষদ নেতৃবৃন্দ প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেছেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন

Back to top button