শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
গত বছরের ১৩ মে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে কান ধরে উঠ-বস করানোর আলোচিত ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হওয়া নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিরুদ্ধে ঘুষের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে নারাণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত বুধবার এই আদেশ দেন বলে পাবলিক প্রসিকিউটর ওয়াজেদ আলী খোকন জানান।
তবে বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে আসা শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেছেন, তাকে চাপে রাখতে ‘প্রভাবশালী এক ব্যক্তির নির্দেশে ষড়যন্তমূলকভাবে’ ওই মামলা করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক মোর্শেদা বেগম এই মামলার বাদী। আর আসামি শ্যামল কান্তি ভক্ত ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
মোর্শেদা বেগমের অভিযোগ, চাকরি এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার কথা বলে ২০১৪ সালে তার কছে থেকে এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা ঘুষ নিয়েও শ্যামল কান্তি তা করে দেননি। টাকা ফেরত চাইলে তা দিতেও অস্বীকার করেছেন শ্যামল কান্তি।
কান ধরে উঠ-বসের ঘটনার দুই মাসের মাথায় ২৭ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থীকে মারধর ও শিক্ষক মোর্শেদাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তিনটি মামলার আবেদন নারায়ণগঞ্জের আদালতে জমা পড়ে।
প্রাথমিক শুনানি করে আদালত প্রথম দুটি মামলার আবেদন খারিজ করে দিলেও মোর্শেদা বেগমের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়ে বন্দর থানা পুলিশকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেয়।
সেই তদন্ত শেষে বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হারুন অর রশিদ গত ১৭ এপ্রিল শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়েই আদালত বুধবার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়।
অন্যদিকে শ্যামল কান্তির আইনজীবী সাখাওয়াত বলেন, “আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। তিনি যাতে আত্মসর্মপণ করে জামিন নিতে পারেন, সেই চেষ্টা করব আমরা।”