জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত আসনে আদিবাসী প্রার্থী কেয়া নকরেক
স্থানীয় সরকার জেলা পরিষদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে প্রার্থী হিসেবে লড়বেন আদিবাসী নারী ‘কেয়া নকরেক’। শেরপুর জেলাধীন নালিতাবাড়ি থানার আন্ধারুপাড়া গ্রামের নালিতাবাড়ি ট্রাইবাল চেয়ারম্যান কোপেন্দ্র নকরেকের কন্যা ‘কেয়া নকরেক’ এ খবর নিশ্চিত করেন।
তিনি বর্তমানে নালিতাবাড়ি উপজেলার দূর্নীতি দমন কমিশনে দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের জয়েন্ট সেক্রেটারি হিসেবে নিযুক্ত আছেন।
শেরপুর জেলায় নির্বাচনটি দুই ভাগে বিভক্ত। ওয়ার্ডের ভিত্তিতে ভাগ করা আসনে কেয়া নকরেক ওয়ার্ড নম্বর–২ এর অধীনে অংশগ্রহন করবেন। ২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীনে নালিতাবাড়ী, নকলা ও ঝিনাইগাতী থানা রয়েছে।
নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতীর মত আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় জয়ী হলে তিনি এই এলাকায় আদিবাসী সম্পর্কিত ও সকল ধরণের উন্নয়নমূলক কাজে নারীদের অগ্রাধীকার দেবেন বলে জানিয়েছেন কেয়া নকরেক।
আইপিনিউজকে তিনি বলেন, এই এলাকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী এখনো শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়ন দেখেনি। আগামীদিনে এই খাতে উন্নয়ন ও সমাজে নতুন কিছু নিয়ে আসতে পরিকল্পনা মাফিক তিনি কাজ করবেন। তাই জয়ী হতে এলাকার সকল স্তরের আদিবাসীদেরকে তার প্রতি আস্থা রেখে সমর্থনের অনুরোধ জানান এই গারো নেত্রী।
এক সময় নির্বাচনটি শুধু একটি থানাতেই আওতাভূক্ত থাকলেও, বর্তমানে তিন থানা মিলিয়ে নির্বাচনের এলাকা ঘোষিত হয়েছে।
‘রাষ্ট্রীয় কাঠামোর মূল স্থানে আদিবাসী কেউ না থাকলে নিজেদের সমস্যা, কান্না সরকারের কাছে কখনো পৌঁছাবে না‘- বলেন কেয়া নকরেক। এই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই মূলত তিনি এই পদে লড়বেন বলে ব্যক্ত করেন তিনি।
নির্বাচনী বিধি মোতাবেক এই পদে কোনোরকম দলীয় প্রতীকে মনোনয়নের সুযোগ নেই। ফলে বিজয়ী প্রার্থীই মূলত এই আসনে স্থান করে নেবেন।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর। এরপর প্রার্থীতা যাচাই বাছাইয়ের পর ২৬ সেপ্টেম্বর, প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ অক্টোবর , সকাল ৯টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।