জাতীয়

জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে রামপাল-রূপপুর প্রকল্প বন্ধের দাবি

জাতীয় সংগীত গেয়ে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রামপালে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্য চত্বরে ‘প্রাণ প্রকৃতি ও মানুষের পক্ষে জনগণ’ ব্যানারে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

এ আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘জাতীয় সংগীতের মধ্যে দেশের সবুজ শ্যামল প্রকৃতির অপরূপ বর্ণনা তুলে ধরা হয়েছে। কিন্তু সেই প্রকৃতি ধ্বংস করার পাঁয়তারা চলছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও রামপালের কয়লাভিত্তিক প্রকল্প করা হলে সুন্দরবন ধ্বংস হবে। এটা জেনেও এই সর্বনাশা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপকের ভাষ্য, ‘সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা জাতীয় পতাকাকে অমর্যাদার শামিল। তাই আমরা জাতীয় সংগীত গেয়ে এই প্রকল্পের প্রতিবাদ ও এগুলো বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তার কথায়, ‘৪৬তম বিজয় দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে জাতীয় সংগীত গেয়ে পরিবেশ বিনষ্টকারী সব প্রকল্প বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। দেশ ও দেশের প্রকৃতির প্রতি প্রেম আর মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে নতুনভাবে প্রতিজ্ঞা নিলাম।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজীম উদ্দিন খান বলেন, ‘ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে দেশ ধ্বংসের পাঁয়তারা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা এ সুযোগে পকেট ভারী করছে। বিজয় দিবসে দেশের মানুষকে ঘুমপাড়ানি গান শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু আমরা জেগে আছি। আমরা দেশ ও প্রকৃতির ধ্বংসকে মেনে নেবো না। তাই জাতীয় সংগীত গেয়ে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

জাতীয় সংগীত গাওয়ার আয়োজনে ‘পারমাণবিক রাজাকার নিপাত যাক’, ‘কয়লার চকলেট বাংলাদেশে হবে না, থামবেন?’, ‘যাদের বিদেশে সেকেন্ড হোম আছে, রামপাল-রূপপুর তারাই চায়’, ‘দুর্ঘটনার দায়মুক্তি আইন, রূপপুর ইজ ফাইন!’ লেখা বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদের এই আয়োজনে হাজির হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অনেকে।

Back to top button