সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হাইকোর্ট
![](https://ipnewsbd.net/wp-content/uploads/2018/01/ee-1-1.jpg)
‘রাজনৈতিক দল হতে পদত্যাগ বা দলের বিপক্ষে ভোটদানের কারণে আসন শূন্য হওয়া’ সংক্রান্ত সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ৭০ অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। তবে বেঞ্চের কনিষ্ঠ বিচারপতি আশরাফুল কামাল রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংবিধানের ৭(১), ১১, ১৯ (১)(৩), ২৬(১)(২), ২৭, ১১৯(১), ১৪২ ও ১৪৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেছেন,৭০ অনুচ্ছেদ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং এটি সংবিধানের মৌলিক গঠন, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনের পরিপন্থী। এমনকি এই ৭০ অনুচ্ছেদ সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর আপিলের রায়ের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
ইউনুছ আলী আরও জানান, এখন নিয়ম অনুসারে মামলাটি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি মামলাটির শুনানির জন্য নতুন বেঞ্চ গঠন করবেন।
এর আগে ওই রিট আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও আইন সচিবকে বিবাদী করা হয়।
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোনও নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়ে কোনও ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হলে, তিনি যদি-(ক) ওই দল হতে পদত্যাগ করেন, অথবা (খ) সংসদে ওই দলের বিপক্ষে ভোটদান করেন, তা হলে সংসদে তার আসন শূন্য হবে। তবে তিনি সে কারণে পরবর্তী কোনও নির্বাচনে সংসদ-সদস্য হওয়ার অযোগ্য হবেন না।’