শেরপুর-জামালপুরে নানামুখী আয়োজনে আদিবাসী দিবস উদযাপন
মঙ্গলবার নানামুখী আয়োজনে শেরপুর ও জামালপুর জেলায় উদযাপিত হলো ৯ আগস্ট আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস ২২।
জাতিসংঘ কর্তৃক এবারের আদিবাসী বর্ষে ‘ঐতিহ্যগত বিদ্যা সংরক্ষন ও বিকাশে আদিবাসী নারী সমাজের ভূমিকা’ মূলসুরকে প্রতিপাদ্য করে সারা বিশ্বের মত দেশের বিভিন্ন স্থানেও দিবসটি উদযাপিত হয়েছে।
গারো, হাজং, কোচ, বানাই, বর্মন, হদি ও ঢালু সহ বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের সম্মিলিত অংশগ্রহণে বিভিন্ন দাবিসমূহের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য প্রধান দাবি হিসেবে দেখা গেছে, ‘ সাংবিধানিকভাবে আদিবাসী স্বীকৃতি।’
গেজেটভূক্ত ৫০ টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী ছাড়াও বাংলাদেশে উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক আদিবাসী জনগোষ্ঠী স্মরণাতিতকাল হতে বসবাস করে আসছে, যাকে পার্বত্য ও সমতলের আদিবাসী হিসেবে ভাগ করা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানের মত শেরপুর ও জামালপুর জেলার ৫ টি স্থানে দিবসটি উদযাপিত হয়েছে। যথাক্রমে শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলা, ঝিনাইগাতির গজনী ও মরিয়মনগর, নালিতাবাড়ির বারোমারী এবং জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জে নানান আয়োজনে উদযাপিত হয়।
শেরপুর জেলাঃ
শ্রীবরদী উপজেলা :
শ্রীবরদী উপজেলারবাবেলাকোনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে র্যালি, আলোচনা সভা ও ঐতিহ্যগত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। উদযাপন কমিটির সভাপতি মিজ প্রদিনী মৃর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল্লাহ। বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক টিডব্লিউএ চেয়ারম্যান সুশীল নকরেক, শেরপুর জেলা জাসদ সভাপতি মনিরুল ইসলাম লিটন, ১ নং সিংগাবরুনা ইউপি চেয়ারম্যান ফকরুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়া গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা, শ্রীবরদী থানা প্রতিনিধি, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ শ্রীবরদী উপজেলার সর্বস্তরের আদিবাসী জনতা।
ঝিনাইগাতি উপজেলাঃ
ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের আয়োজনে মরিয়মনগরেও দিবসটি সারাদিনব্যাপী উদযাপিত হয়েছে। বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, এতিহ্যগত সাংষ্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলো সর্বত্র মুখরিত।
এছাড়া ঝিনাইগাতির গজনীতে জেলা ভিত্তিক আদিবাসী দিবস পালন করেছে উদযাপন কমিটি। আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা, ঐতিহ্যগত সাংষ্কৃতিক উপস্থাপনা ও খেলাধুলা দিয়ে পালিত হয়েছে।
নালিতাবাড়ি :
যথাযথভাবে নালিতাবাড়িতেও উদযাপিত হলো দিবসটি। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা হয়েছে।
জামালপুর জেলাঃ
বকশীগঞ্জ :
বকশীগঞ্জের দিগলাকোনায় র্যালি, আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপিত হয়েছে।