রাঙামাটিতে ৪ জন ত্রিপুরা নিহতের ঘটনায় দুইটি ত্রিপুরা সংগঠনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি
রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় ৪ জন নিরীহ ত্রিপুরা নিহত হওয়ার ঘটনায় ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ পৃথকভাবে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠন দুটি এই ঘটনার জন্য কুকি- চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)- কে দায়ী করেছে।
ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের দপ্তর সম্পাদক শ্যামন্ত ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদের সভাপতি সুশীল জীবন ত্রিপুরা স্বাক্ষরিত পৃথক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় যে, গত ২১ জুন (মঙ্গলবার) আনুমানিক সন্ধ্যা ৬:০০টায় রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার ৪নং বড়থলি ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড, সাইজাম পাড়া গ্রামে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)-এর সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়িভাবে গুলি চালায় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে একই পরিবারের ৩ জনসহ মোট ৪ জন নিরীহ জুম চাষি ত্রিপুরাকে হত্যা করে এবং এতে শিশুসহ আরো ৩২ জন আহত হয়েছেন। এতে কয়েকজন পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় খবর দিতে সক্ষম হন।
হামলায় নিহতরা হলেন- বিচাই চন্দ্র ত্রিপুরা(৫২), পীং-বাদলা ত্রিপুরা, সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা(২৩), পীং-বিচাই চন্দ্র ত্রিপুরা, বীর কুমার ত্রিপুরা(২১), পীং-বিচাই চন্দ্র ত্রিপুরা এবং ধনরাম ত্রিপুরা(১৬), পীং-সিতারাম ত্রিপুরা। অপরদিকে আহত শিশুরা হলেন- অনন্ত ত্রিপুরা(৪), পীং-নিহত সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা ও সুমনা ত্রিপুরা(১ বছর ৬ মাস), পীং-সুভাষ চন্দ্র ত্রিপুরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুন ঐ সময়ে সাইজাম পাড়া গ্রামের আদিবাসী ত্রিপুরা গ্রামবাসীরা যে যার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন ঠিক তখনই কেএনএফ সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র দল সেখানে এসে গ্রামবাসীদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এতে ঘটনাস্থলে ৪ জন নিহত হয়।
এই সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম ও বাংলাদেশ ত্রিপুরা কল্যাণ সংসদ।
সংগঠন দুটি তাদের প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আহতদের সু-চিকিসার জন্য পর্যাপ্ত সহযােগিতা প্রদান করা, নিহত ও আহত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান করা, নিহত ও আহত পরিবারের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা প্রদান করা, ভবিষ্যতে এই ধরণের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে প্রয়ােজনীয় পদক্ষেপগ্রহণ করা সহ আরও বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে।