অন্যান্যআঞ্চলিক সংবাদ

মধুপুরে জোরপূর্বক লেক খননের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ

আজ বুধবার মধুপুর গড়াঞ্চলের দোখলা চৌরাস্তা মোড়ে বনবিভাগ কর্তৃক জোরপূর্বক কৃত্তিম লেক খননের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।টাঙ্গাইলের মধুপুর বনাঞ্চলে বন বিভাগের লেক খনন প্রকল্প বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আবার এই বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

সম্মলিতি আদবিাসী ছাত্র জনতা’র ব্যানারে ভুটিয়া হতে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে দোখলা চৌরাস্তায় এসে শেষ হয় এবং সহস্রাধিক বিক্ষোব্ধ আদিবাসীর অংশগ্রহণে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জিএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক লিয়াং রিছিলের সঞ্চালনা ও বাগাছাস কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জন জেত্রার সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনি ম্যাথিউ চিরান, আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিক মৃ ও জমির মালিক কৌশলা নকরেক প্রমুখ।

জিএসএফের লিয়াং রিছিল বলেন, ”প্রধানমন্ত্রি শেখ হাসিনা ‘কৃষিবিদ দিবস – ২২’ উপলক্ষে বলেছেন ‘এক ইঞ্চি জমি যেনো অনাবাদি না থাকে।’ সেই প্রেক্ষিতে বনবিভাগের উচিত জননেত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের বাস্তবায়ন করা।”

গত ২৫ এপ্রিল প্রথম বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। বুধবারের সমাবেশটি ওই কর্মসূচিরই ধারাবাহিকতায় আয়োজন করা হয়।

সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের হেরিদ সাংমা, লেখক ও গবেষক পরাগ রিছিল ও শিল্পী সালাস মানখিনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য যে, মধুপুর জাতীয় উদ্যানের ‘ইকো ট্যুরিজম উন্নয়ন ও টেকসই ব্যবস্থাপনা’ প্রকল্পের আওতায় ৬০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে মধুপুর দোখলা রেস্ট হাউজের পাশে আমতলী বাইদ এলাকায় লেক খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বনবিভাগ। ২২ এপ্রিল সেই জমিতে সংরক্ষিত এলাকা ‘সর্ব সাধারণের প্রবেশ নিষেধ’ লেখা সংবলিত সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়া হয়। এতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে মধুপুরের সর্বসাধারণ। এর প্রতিবাদে ২৫ এপ্রিল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। তাদের দাবি, আমতলী বাইদে ১৩ টি গারো আদিবাসীর ৪৫ বিঘা আবাদী জমিতে জোরপূর্বক লেক খনন করতে চায় বনবিভাগ। পরে অফিস ভাংচুর ও সাইনবোর্ড উপড়ে ফেলার নামে ৩ জন আদিবাসী নেতার নামে মামলা করে বনবিভাগ।

Back to top button