অন্যান্য

বিএনপি সাধারণ সম্পাদকের রাঙ্গামাটিতে প্রবেশে সংঘটিত হামলা নিন্দনীয়

বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ রাঙ্গামাটিতে প্রবেশে সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঐক্য ন্যাপ। ঐক্য ন্যাপের সভাপতি ও প্রবীন রাজনীতিবিদ পংকজ ভট্টাচার্যের সাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
লিখিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এ হামলা গণতন্ত্রের জন্য এটি এক অশনি সংকেত। রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ী ধ্বসের ঘটনা দেখতে এবং শতাধিক নিহতের পরিবারবর্গকে রিলিফ দিতে রাঙ্গামাটি সফরে যাচ্ছিলেন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পথিমধ্যে রাঙ্গুনিয়ায় তার গাড়ী বহরে অতর্কিতে লাঠি-রড সহ অস্ত্রশাস্ত্রে সজ্জিত একটি সংঘটিত আক্রমন পরিচালিত হয় পরিকল্পিতভাবে। এই ঘুন্য আক্রমনে ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় কয়েক জন বিএনপি নেতা আহত হয়েছেন। ঘটনাটির বহুমাত্রিক প্রতিক্রিয়া আগামী নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, গণতন্ত্রের পথযাত্রাকে নয়া সংঘাত-সংঘর্ষ-ষড়যন্ত্রের মিলিত সাড়াশী আক্রমণে ত্রিশষ্কৃদশায় পরিণত করবে বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহল সহ দেশবাসী শঙ্কাগ্রস্ত হওয়ার উপক্রম হয়েছেন। এহেন ঘটনার হোতাদের অবিলম্বে কার্যকর তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান ব্যতীত অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভ্রাব্যতা এবং গণতন্ত্রের বিকাশ কোনটাই বিপন্নদশা কাটাতে সক্ষম হবে না।
বলা বাহুল্য, রাঙ্গামাটিতে প্রবেশের পথে ইতোপূর্বে বিএনপি আমলে ড: কামাল হোসেন এবং পঙ্কজ ভট্টাচার্যের গাড়ী বহরে অনুরূপ হামলা হয় এবং সম্প্রতি লামা ও বান্দরবনে পঙ্কজ ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে নাগরিক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের পরিদর্শন গাড়ী বহর নিরাপত্তা বাহিনী বাধা প্রদান করে এবং সুলতানা কামালের গাড়ী বহরের উপর কয়েক বছর পূর্বে সাজেকে হামলা চালানো হয়।
এহেন ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত-হামলা-কাদের হাতকে শক্তিশালী করে? গণতন্ত্রকে সারবত্তাহীন ও জনগণের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ করে কোন গণতন্ত্রবিরোধী শক্তি লাভবান হবে? বুঝহ সুজন যে জান সন্ধ্যান।

Back to top button