বান্দরবনে পিসিপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের বাধা
গত ১২ এপ্রিল বান্দরবনের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের বালুঝিড়ি গ্রামের ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। বান্দরবনে অাদিবাসী কিশোরী (১৪) ধর্ষণের প্রতিবাদ ও অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে বান্দরবান জেলা পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের(পিসিপি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পুলিশি বাধায় পণ্ড হয়েছে। আজ সকালে বান্দরবন প্রেসক্লাবে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী পালন করতে গেলে পুলিশ বাঁধা প্রদান করে বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ১২ এপ্রিল বান্দরবনের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের বালুঝিড়ি গ্রামের ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়। এর প্রতিবাদে ১৪ এপ্রিল বান্দরবন জেলা পিসিপি প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। সেখানে পুলিশ পিসিপির নেতা কর্মীদের সাথে বাকবিন্ডতায় জড়িয়ে পড়ে এবং বিতাড়িত করে দেয় । পুলিশি বাধায় সেখানে সমাবেশ করতে না পেরে পিসিপি বান্দরবন জেলা কার্যালয়ের সামনে আবার প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশ অাবারও এসে বাঁধা দেয় ও ব্যানার কেড়ে নিয়ে যায়। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় অাইন-শৃঙ্খলার বাহিনীর এমন হীন অাচরণ ও অগণতান্ত্রিক ব্যবহার অপরাধীদের পক্ষে কথা বলছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্ততিতে পুলিশের এমন হীন অাচরণের জন্য নিন্দা জানান পিসিপি বান্দরবন জেলা কমিটি। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চার সেটেলার বাঙ্গালির অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তাৎক্ষনিক পরিচয় পাওয়া তিন ধর্ষকের নাম জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। তারা হল ১.সোহেল (১৯), ২.অাসাব উদ্দিন (২০), ৩.অাব্দুস শুক্কুর। এদের বর্তমান ঠিকানা খ্যুলিমিয়া চেয়ারম্যান পাড়া হলেও স্থায়ী ঠিকানা -চকরিয়া বলে জানা গেছে। পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ এই ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জোর দাবী এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও পরিবারের প্রতি উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান।
উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের অাদিবাসী জুম্ম জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সামাজিক উৎসব বৈসু, সাংগ্রাই, চাংক্রান, বিজু, বিষু, বিহু উৎসবের সময় গত ১২ এপ্রিল বান্দরবনের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়নের বালুঝিড়ি গ্রামের ত্রিপুরা কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়।