ঢাকায় টিইউসি’র বিক্ষোভঃ শিল্প মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি
কেরানীগঞ্জের প্রাইমটেক্স প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিক হত্যার জন্য মালিকসহ দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, হতাহতদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত, অনশনরত শ্রমিক হত্যার বিচার, পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি পরিশোধসহ ১১ দফা দাবিতে আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, শুক্রবার বিকাল ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের (টিইউসি) উদ্যোগে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। টিইউসি’র সভাপতি শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মজনু। আব্দুল মালেক, সাহিদা পারভীন শিখা, মন্টু ঘোষ, কাজী রুহুল আমিন, আলী হোসেন, সাদেকুর রহমান শামীম, সায়েরা খাতুন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সমাবেশে সহিদুল্লাহ চৌধুরী সম্প্রতি প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে শ্রমিক নিহত ও অনশনরত পাটকল শ্রমিকের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে কেরানীগঞ্জের প্রাইমটেক্স প্লাস্টিক কারখানায় শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী মালিক, ঐ এলাকার সংশ্লিষ্ট কারখানা পরিদর্শকসহ অন্যান্যদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী বলেন যে, বারবার কারখানায় বিস্ফোরণে হাজার হাজার শ্রমিককে হত্যা করার পরও এযাবৎকাল কোন হত্যাকারীর কেন শাস্তি হলো না এর দায়ে শিল্পমন্ত্রীকে পদত্যাগ করা উচিৎ।
তিনি বলেন, ২২টি রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকলে মাসের পর মাস শ্রমিকদের বেতন না দিয়ে না খাওয়ায়ে মারছে। দুর্নীতি, ভুলনীতি কারণে কারখানাগুলোকে অচল করা হয়েছে। জনাব সহিদুল্লাহ চৌধুরী চ্যালেঞ্জ করে বলেন যে, পাটমন্ত্রী এবং বিজেএমসি ব্যর্থ হলেও আমাদেরকে দায়িত্ব দিলে ১৫ দিনের মধ্যে পাটকলের সব সমস্যার সমাধান করে দেব। তিনি বলেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী শ্রমিক সমস্যা সমাধান না করতে পারলে তাকেও পদত্যাগ করতে হবে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান বলেন যে, নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করতে না পারলে বাংলাদেশের শিল্প কারখানা টিকিয়ে রাখা দুরূহ হয়ে পড়বে। তিনি অবিলম্বে নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত করার দাবি জানান। এই জন্য তিনি শ্রমিক কর্মচারীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তিনি পাটকল শ্রমিকদের ১১ দফা দাবি মেনে নেওয়ারও আহ্বান জানান।