কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রয়াত সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল স্মরণে নাগরিক শোকসভা

বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল – বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি প্রয়াত সংসদ সদস্য মইন উদ্দিন খান বাদল স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আজ ২৯ নভেম্বর ২০১৯ শুক্রবার বিকাল ৩.৩০ টায় নাগরিক শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ জাসদ সভাপতি জনাব শরীফ নুরুল আম্বিয়া’র সভাপতিত্বে শোকসভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয় প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ শিকদার, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য জনাব মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম,এল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন সভাপতি এড. আমিন উদ্দিন, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী আবু সাঈদ খান, ন্যাপ ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাঈল হোসেন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন আহ্বায়ক জিয়াউদ্দিন তারেক আলী, কমিউনিষ্ট কেন্দ্র আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম সমিতি সভাপতি মোবারক হোসেন, বাংলাদেশ জাসদ সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, বাংলাদেশ জাসদ স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মুশতাক হোসেন, ইন্দু নন্দন দত্ত ও মোহাম্মদ খালেদ; বাংলাদেশের জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি আবদুল কাদের হাওলাদার, হোমিওপ্যাথি পেশাজীবী পরিষদ মহাসচিব ডা. আমানুল্লাহ জিকু এবং ১৪ দলীয় জোটের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ দেশের বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবীগণ ও দলীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। শোকসভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জাসদ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করিম সিকদার ও মনজুর আহমেদ মনজু।
প্রয়াত সংসদ সদস্য মইনউদ্দিন খান বাদল’র প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ জাসদ নেতৃবৃন্দ বলেন, “মইন উদ্দিন খান বাদল এমপি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার অপচেষ্টা প্রতিহত করার জন্য তিনি দৃঢ় ভূমিকা রেখেছেন। ক্রমবর্ধমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য দুর করার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেছেন, বিদ্যমান গণতন্ত্রের দুর্বলতা দুর করার জন্য চেষ্টা করেছেন। বাংলাদেশ জাসদ রাজনীতিতে তার ভূমিকা নিয়ে গৌরববোধ করে। তিনি বাংলাদেশে, বিশেষ করে বৃহত্তর চট্টগ্রামে একজন জননন্দিত নেতায় পরিণত হন। চট্টগ্রামের উন্নয়ন, কালুরঘাট ব্রিজ নির্মাণের দাবী আদায়ে তার প্রচেষ্টা স্মৃতিতে অম্লান হয়ে থাকবে। তিনি জনগণের মন জয় করে রাজনীতি করেছেন। সংসদে বিভিন্ন বিষয়ে তার ক্ষুরধার বক্তব্য আমাদের দলের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। তাঁর ভূমিকায় আমরা গর্বিত। দলের অভ্যন্তরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তার ভূমিকা গণতন্ত্রকামীদের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। জনাব বাদল জোটবদ্ধ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাসদের একমাত্র এমপি ছিলেন। আমরা আশা করি উপনির্বাচনে ঐ আসন থেকে আমাদের দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে। এটা আমাদের অধিকার এবং দাবি। বাদল দীর্ঘদিন মানুষের স্মৃতিতে বেঁচে থাকবেন। আমরা তার আত্মার শান্তি কামনা করি।”
“জনাব মইনউদ্দিন খান বাদল এমপি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। সত্তরের দশকে তিনি জাতীয় কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি সংগঠনের সভায় যোগ দিতে ভারতে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি একজন কৃতি সন্তানকে হারালো। বাংলাদেশ জাসদের নেতা-কর্মীরা একজন নেতাকে শুধু হারালেন না একজন সংবেদনশীল অভিভাবককেও হারালেন। জনাব বাদলের মৃত্যু আমাদের জন্য খুব কষ্টের। তাঁর মৃত্যুতে আমরা যারপর নেই ক্ষতিগ্রস্ত। সে ক্ষতি এবং শূন্যতা পূরণ হওয়ার মত নয়। এই বীর মুক্তিযোদ্ধার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।”