এন লারমার ৩৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এম এন লারমা স্মৃতি গণ পাঠাগারের নানা আয়োজন

আজ ১০নভেম্বর ২০২০ খ্রী. বিপ্লবী এম এন লারমার ৩৭তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০২০ উপলক্ষে এম এন লারমা স্মৃতি গণপাঠাগার, দেবাশীষ নগর, রাঙ্গামাটি এর উদ্যোগে বিকেল ৪.০০ ঘটিকায় বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এ আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পাঠাগারের সভাপতি সুমন চাকমার সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সম্মানিত সভাপতি শ্রী প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা,এম এন লারমা মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন এর সম্মানিত সভাপতি বিজয় কেতন চাকমা, বিশিষ্ট সমাজসেবক সঞ্চারণ চাকমা,নবাশীষ চাকমা, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ইন্দ্র দত্ত তালুকদার, মিলন চন্দ্র চাকমা, পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্ৰন্থাগার সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সম্মানিত সভাপতি সাগর ত্রিপুরা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও স্মরণ সভায় ২ মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে বক্তব্য শুরু করে বক্তাবৃন্দ এম এন লারমার জীবন দর্শন ,আত্মজীবনী, নীতি -আদর্শ, বুকে ধারণ করে যথাযথ প্রয়োগে পাঠাগার সমাজ,দেশ ও জাতীয় ভাবে আলোকিত মানুষ গড়ার সহায়ক ভূমিকা প্রতিপালনে আশাবাদ ব্যক্ত করে বক্তারা আলোচনা করেন।
বক্তারা বলেন, মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা যে স্বপ্ন আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়ে গেছেন সে স্বপ্নকে ধারণ করেই আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি যে শিক্ষা গ্রহনের উপর গুরুত্বারোপ করতেন তা যেন প্রত্যেকটি পাহাড়ী মানুষ অনুস্মরণ করে। মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা জুম্ম জনগণের জাতীয় জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন বলে দাবী করেন বক্তারা।
অতঃপর বিভিন্ন ইভেন্টে প্রতিযোগীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা জানিয়ে প্রতিযোগীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরিশেষে আলোচনা সভার সভাপতি সুমন চাকমার সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের পরে সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে স্মরণ আয়োজন শেষ হয়।