শিল্প ও সংস্কৃতি

‘ঐতিহ্যের ঐক্য’ শিরোনামে হিল আর্টিস্ট গ্রুপের অনন্য উপস্থাপনায় ঢাকা আর্ট সামিটে অংশগ্রহন

সতেজ চাকমা: দক্ষিণ এশিয়ার শিল্পকলার প্রদর্শনী বিষয়ক ও চিত্রকলার সবচেয়ে বড় আয়োজন ঢাকা আর্ট সামিট শুরু হয়েছে বিগত ৭ ফেব্রুয়ারী। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত চলমান এই আর্ট সামিটে দেশ বিদেশের বহু চিত্র-শিল্পী,ভাস্কর, কিউরেটর, শিল্প সমালোচক সহ দর্শনার্থীরা অংশ নিচ্ছেন সাগ্রহে। অন্যান্যের মধ্যে এবারে ভিন্ন আয়োজনে নতুন উপস্থাপনায় এই সামিটে অংশ নিয়েছে হিল আর্টিস্ট গ্রুপ। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই সংগঠনটি’র জন-কয়েক শিল্পীর যৌথ উপস্থাপনা এখন চলমান আর্ট সামিটে প্রদর্শিত হচ্ছে।

হিল আর্টিস্ট গ্রুপের সাধারন সম্পাদক জয়দেব রোয়াজা’র সাথে আইপিনিউজ এর এই প্রতিবেদক কথা বলে জানতে পারেন তাঁদের এই প্রদর্শনীর শিরোনাম-‘ঐতিহ্যের ঐক্য’। জয়দেব রোয়াজা জানান, আমরা চেষ্টা করেছি পাহাড়ের যে ১১ টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী রয়েছে তাঁদের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ পোশাকের যে শৈল্পিক নকশার অন্যন্য রূপ রয়েছে সেগুলোর প্রত্যেকটির প্রতিনিধিত্বকারী ১১ টি ফর্মার সমন্বয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করানোর। এই ১১ টি ফর্মার মধ্যে কিছু কিছু আন্তমিল হয়ত রয়েছে যা পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী জুম্মদের ‘ঐতিহ্যের ঐক্য’কে ফুটিয়ে তুলেছে বলে জানান পাহাড়ের এই শিল্পী।

তিনি আরো জানান, আমরা যে ১১ টি জুম্ম জনগোষ্ঠী পাহাড়ে বসবাস করি তারা সবাই জুম চাষ করে। যার জন্য আমরা সবাই জুম্ম। আর এই উপস্থাপনায় যে জুম ঘরটি আমরা এঁকেছি সেটিও আমাদের বিভিন্ন বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্যের ঐক্যের বন্ধনকে তুলে ধরেছে।

হিল আর্টিস্ট গ্রুপের সাধারন সম্পাদক আরো জানান, আমরা চেষ্টা করছি আমাদের পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর যে ঐতিহ্যবাহী পোশাক রয়েছে সে পোশাকগুলোর মধ্যে যে নকশা’র কাজ করা হয় সেগুলো’র একটি সংকলন বের করার।

এই নকশাগুলো হারিয়ে যাওয়ার আশংকার কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এই নকশার বিষয়গুলো গভীর থেকে তুলে নিয়ে আসার জন্য গবেষকদের গবেষণা জরুরী।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় শিল্পকলা একাডেমীতে চলমান এই আর্ট সামিটে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন রঙে ১১ টি ফর্মার মধ্যে জুমঘর সহ আঁকা হয়েছে এই চিত্রকর্মটি। অনেক দর্শনার্থী দেখছেন। আলোচনা করছেন আর জানার চেষ্টা করছেন এই চিত্রকর্মের নিগুঢ অর্থ।

জয়দেব রোয়াজা আইপিনিউজকে বলেন, আমরা ঢাকা আর্ট সামিট আয়োজকদেরকে ধন্যবাদ জানায় এই কাজটি করার সুযোগ দেওয়ার জন্য। আমরা হিল আর্টিস্ট গ্রুপের পাহাড়ের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর যে শিল্পীরা একত্রে এই কাজটি করেছি তাঁদের মধ্যেও বন্ধন শক্তিশালী হবে। এভাবে সুদৃঢ় আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন পাহাড়ের এই শিল্পী।

Back to top button