আঞ্চলিক সংবাদ

বিলাইছড়িতে সেনাবাহিনীর নির্বিচার ধরপাকড় ও হয়রানির অভিযোগ

বৃহস্পতিবার ভোর রাতে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন জুম্ম গ্রামে সেনাবাহিনী নির্বিচারে ধরপাকড় চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত অভিযানে বিভিন্ন গ্রাম থেকে নারী ও কিশোরসহ ৮ জন গ্রামবাসীকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আটককৃতরা নিরীহ গ্রামবাসী বলে জানা গেছে।
জানা যায় যে, রাত ১:৩০ ঘটিকায় বিলাইছড়ি উপজেলাধীর দীঘলছড়ি সেনা জোনের ১৩ বেঙ্গলের একদল সেনা বিলাইছড়ি ইউনিয়নের দীঘলছড়ি গ্রামের সুমন চাকমা (২৮) পিতা অমরেন্দ্র লাল চাকমা, বুদ্ধি বিজয় তঞ্চঙ্গ্যা (২৫) পিতা লাম্বাহুলো তঞ্চঙ্গ্যা এবং সখিলাল তঞ্চঙ্গ্যা (৯ম শ্রেণির ছাত্র) প্রমুখ গ্রামবাসীদের স্ব স্ব বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে। সকালে সখিলাল তঞ্চঙ্গ্যাকে ছেড়ে দিলেও সেনা সদস্যরা সুমন চাকমা ও বুদ্ধি বিজয় তঞ্চঙ্গ্যাকে বিলাইছড়ি থানায় সোপর্দ করে বলে জানা যায়। তবে কোন অভিযোগে বা কোন মামলায় জড়িত করে গ্রেফতার করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
অন্যদিকে দীঘলছড়ি জোনের সেনা সদস্যরা রাত ৩:০০ ঘটিকায় উপজেলার কেঙড়াছড়ি ইউনিয়নের কেড়নছড়ি গ্রাম থেকে বীরময় চাকমা পিতা নলিনী চাকমা এবং সুনীল কান্তি চাকমা পিতা কালিমন চাকমাকে তাদের স্ব স্ব বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে আসে। তাদেরকে কোথায় রাখা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
দীঘলছড়ি সেনা জোনের আওতাধীন তক্তানালা সেনা ক্যাম্পের একদল সেনা রাত ৩:০০ ঘটিকায় ফারুয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত তক্তানালা গ্রাম থেকে ফারুয়া ইউনিয়নের ৫, ৬, ও ৭ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রান্যাবী চাকমা, তাঁর স্বামী এবং চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা (৩৮) (স্থানীয় দোকানদার) নামে তিন গ্রামবাসীকে ধরে নিয়ে আসে। চন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যাকে সকালে দীঘলছড়ি সেনা জোনে নিয়ে আসা হয় বলে জানা গেছে। তবে রান্যাবী তঞ্চঙ্গ্যা ও তাঁর স্বামীকে কোথায় রাখা হয়েছে তার হদিশ এখনো পাওয়া যায়নি।
আটককৃতদের উপর হয়রানি ও নির্যাতন করা হতে পারে বলে তাদের স্বজনরা আশঙ্কা করছেন

Back to top button