ধর্ষণের ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র: প্রতিবাদ সমাবেশে আদিবাসী যুবনেতৃবৃন্দ
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি
আজ ৩ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ১০ টায় বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালিতে মারমা আদিবাসী নারীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনকারী মোঃ কায়সারকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে আদিবাসী যুব সংগঠনসমূহ।
ঢাকার শাহবাগে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ এবং সঞ্চালনা করেন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ,ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমা।
বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ বলেন, “পাহাড়ে নিরাপত্তার নামে কত নাটক দেখলাম। কত কত নিরাপত্তাবাহিনী আছে। কিন্তু এক সপ্তাহের বেশী হয়ে গেল আপনারা কিছুই করতে পারেন নাই। এরকম নিরাপত্তার দরকার নাই আমাদের। কদিন আগেও ম্রো এবং ত্রিপুরা আদিবাসীদের উচ্ছেদ করতে জুম পোড়ানো, ঝিরিতে বিষ প্রয়োগ থেকে শুরু করে কত ষড়যন্ত্র করতে দেখেছি। আমরা এটাকে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করি না। এটি একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।”
তিনি আরো বলেন, “আপনি পাহাড়ে আগুন জ্বালান, ধর্ষণ করেন, আপনার কোন সমস্যা হবে না। কারণ নিরাপত্তা বাহিনী আপনাকে নিরাপত্তা দিবে। এটা একটি অলিখিত সমর্থন নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে।
একটা চেয়ারম্যান কিভাবে ধর্ষণ মামলাকে ধামাচাপা দিতে ষড়যন্ত্র করতে পারে? আমরা তার পদত্যাগের দাবি জানাই।”
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি রেং ইয়ং ম্রো বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর আস্থা এমনি এমনি উঠে যায় নাই। ৮ দিন পরও যখন বিচার পাই না,তখনই উঠে যায়। যেদিন থেকে ধর্ষক কায়সারকে সেখানকার মহিলা মেম্বার জোসনা আক্তার তার নিজ হেফাজতে নিয়ে যায়, সেদিন থেকে সে লাপাত্তা। নারীদের ধর্ষণ, উন্নয়নের নামে জঘন্য পর্যটন করে পাহাড়ীদের নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে প্রশাসন।”
সমাবেশে সংহতি বক্তব্য রাখেন গানের দল সমগীতের ভোকাল বিথী ঘোষ। তিনি বলেন, “ধর্ষণের বিচার পাওয়ার সাথে ক্ষমতার একটি গভীর সম্পর্ক আছে। সেটেলাররা পাহাড়ে সবসময় শক্তিশালী। কেননা নিরাপত্তাবাহিনী সবসময় তাদের শক্তির যোগান দিয়ে আসছে।”
সমাবেশে ধর্ষক কায়সারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক টনি ম্যাথিউ চিরান, বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়ক ফাল্গুনী ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস, ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অংশৈসিং মারমা এবং অন্যান্য যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।