জাতীয়

ডাকসু ও আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে মাতৃভাষা উৎসব হচ্ছে ঢাবিতে

সতেজ চাকমা: ডাকসু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া আদিবাসী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী রোজ রবিবার ঢাবিতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘মাতৃভাসা উৎসব-২০২০’। বাংলাদেশে বাঙালি ভিন্ন অপরাপর আদিবাসীদের ভাষা সমূহকে উৎসর্গ করে এই অনুষ্টান আয়োজন করতে যাচ্ছে ডাকসু ও ঢাবিতে পড়ুয়া আদিবাসী শিক্ষার্থীরা। উক্ত আয়োজনকে সামনে রেখে আজ (২০ ফেব্রুয়ারী) ঢাবির টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ডাকসু’র সাহিত্য সম্পাদক মাজহারুল কবীর শয়ন লিখিত বক্তব্যে বলেন,“ ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বৈরাচার প্রতিরোধ আন্দোলন সহ সকল গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামে বাঙালিদের পাশাপাশি অপরাপর আদিবাসীদেরও রয়েছে বীরত্বপূর্ণ লড়াইয়ের ইতিহাস। কিন্তু দু:খজনক হলেও সত্যি যে পার্বত্য চট্টগ্রাম তথা সমতল অঞ্চলে বিভিন্ন প্রান্তে বসবাস করা আদিবাসীরা এখনো নানা কারণে তাঁদের স্ব স্ব ভাষা ও সংস্কৃতিগুলোর মাধ্যমে বিকশিত হতে পারেনি।”
এছাড়া লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাধিক আদিবাসী শিক্ষার্থী পড়াশুনা করে। তাঁরা সংখ্যানুপাতিক দৃষ্টিতে কম হতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ তথা সকল গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা লক্ষ করি সকল ক্ষেত্রে এদেশের তথা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বহুত্ববাদী সংস্কৃতি ও ভাষার মানুষের মধ্যে যে অসাম্প্রদায়িক চেতনা সে চেতনা বার বার জয়ী হয়েছে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারী টিএসসির সবুজ চত্বরে বিভিন্ন আদিবাসীদের ভাষায় কবিতা আবৃত্তি, আদিবাসী ভাষায় গান করা বিভিন্ন ব্যান্ডের গান পরিবেশনা সহ আলোচনা সভার মাধ্যমে পালিত হবে এই মাতৃভাসা উৎসব।এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নৃত্যপরিবেশনা সহ আটটি আদিবাসী জাতির মাতৃভাষায় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কী ভুলিতে পারি’ গানটি সম্মিলিতভাবে পরিবেশিত হবে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর দুই সদস্য যোশীয় সাংমা চিবল ও রাইসা নাসের এবং বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ঢাকা মহানগরের সাধারন সম্পাদক নুথোয়াই মারমা,ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সতেজ চাকমা, গারো আদিবাসী শিক্ষার্থী প্রণব নকরেক সহ বিভিন্ন বিভাগের আদিবাসী শিক্ষার্থীরা।

Back to top button