রাজাকারের তালিকা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে ঐক্য পরিষদ
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে বলেন, দীর্ঘদিন পর একাত্তরের রাজাকার, আল বদর, আল শামস ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা প্রকাশিত হলেও তা জাতির প্রত্যাশা পূরণ দূরে থাক, সারাদেশে প্রচন্ড ক্ষোভ, অসন্তোষ ও বেদনার জন্ম দিয়েছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, জীবন বাজি রেখে যারা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন, শহীদ হয়েছেন তাদের অনেকের নাম এই স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় এসেছে। অন্যদিকে কুখ্যাত ঘাতক-স্বাধীনতাবিরোধী অনেকের নাম তালিকায় নেই। ঐক্য পরিষদ এই বেদনাদায়ক ও অসম্মানজনক তালিকা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের কেউ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেনি, বরং বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে। এটা ছিল দীর্ঘ নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতা। কিন্তু সংখ্যালঘু অনেক মুক্তিযোদ্ধা কিংবা শহীদ ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের নাম এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে। যা অস্বাভাবিক শুধু নয়, অমানবিক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী।
এ্যাড. দাশগুপ্ত বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে এক কোটিরও বেশী মানুষ দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছিল, যার সিংহভাগই ছিল সংখ্যালঘু। স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় ৯২ জন সংখ্যালঘু ও ৫ (পাঁচ) জন নারী সংখ্যালঘুর নাম এসেছে, যার মধ্যে আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সুধীর কুমার চক্রবর্ত্তীর স্ত্রী প্রয়াত ঊষারাণী চক্রবর্ত্তী ও তাঁর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার চক্রবর্ত্তীর নাম রয়েছে। এতে আমরা শুধু ক্ষুব্ধও নই, হতভম্বও হয়েছি। এভাবেই সরকারের একটি শুভ উদ্যোগকে ব্যর্থ করে দেয়ার পেছনে কারা রয়েছে, অবিলম্বে তা তদন্ত করে তাদের শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন।