মহান সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৪ বছর পালিত
মহান সাঁওতাল বিদ্রোহের ১৬৪ বছর উপলক্ষে জিরানী মিশনের হলরুমে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সান্তাল রাসকা কালচারাল একাডেমী এবং জিরানী যুব সংঘ যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সিধু কানুর অস্থায়ি বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কর্যক্রম শুরু করা হয়।
জিরানী মিশনের ফা: জন পাওলো পিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, ঢাকা, সাভার, গাজীপুর ও নারায়নগ শিল্পাঞ্চল কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিভাস চাকমা, আদিবাসী যুব পরিষদের সভাপতি এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হরেন্দ্রনাথ সিং, ডাহাড় ধুড়ী কালচারাল একাড়েমীর সভাপতি নন্দলাল কিস্কু, সান্তাল রাসকা কালচারাল একাডেমীর সভাপতি মিলিতা মুরমু এবং জিরানী যুব সংঘের সভাপতি যোশেফ টুডু। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন ইমানুয়েল মুরমু।
প্রধান অতিথি বিভাস চাকমা তার বক্তব্যে বলেন আমাদের সংগঠিত থেকে সংগ্রাম করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের কোন বিকল্প নেই। অধিকার কেউ হাতে তুরে দিবেনা অধিকার আদায় করে নিতে হবে। পাহাড়ের মানুষ সংগ্রাম করে আ লিক পরিষদ এবং পৃথক মন্ত্রনালয় আদায় করে নিয়েছে। তাই সমতলের আদিবাসীদেরও সংগ্রাম করেই অধিকার আদায় করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হরেন্দ্রনাথ সিং বলেন ১৬৪ বছর পরেও আমরা সাঁওতাল বিদ্রোহের নায়কদের স্মরণ করছি। আদিবাসী এবং গরিব মানুষের জন্য তাঁরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছিলেন বলেই আজও আমরা তাঁদের স্মরণ করছি। যে অন্যায়ের প্রতিবাদে সাঁওতাল বিদ্রোহ হয়েছিল তা আজও সমাজে বিদ্যমান। প্রতিবছর ৩০ জুন আসলেই আমরা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস পালন করি তাতে লাভ কি? সিধু, কানু, চাঁদ, ভাইরোর জালিয়ে যাওয়া বিদ্রোহের আগুন নিজেদের হৃদয়ে জালিয়ে রেখে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারলেই কেবল তাঁদের স্মরণ অনুষ্ঠান সার্থক হবে।