বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিতে স্বাক্ষরকারীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের আয় না বাড়লেও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন অতিষ্ঠ। এরপর বিদ্যুতের দাম বাড়লে সবকিছুর দাম আবার বাড়বে। সাধারণ নাগরিকরা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিল করে বিদ্যুত খাতে দুর্নীতি, অপচর ও অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান পরিচালনার আহ্বান জানান।
আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার সকালে রাজধানীর পল্টন মোড়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে সপ্তাহ ব্যাপী গণস্বাক্ষর কর্মসূচির শেষ দিনে শত শত মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।
এ সময় সিপিবির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিদ্যুতের সরকারি খাতকে পঙ্গু করে বেসরকারি খাতে উৎপাদন বাড়িয়ে দেশকে সংকটের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় কুইকরেন্টাল বিদ্যুতকেন্দ্র বন্ধ না করে কতিপয় গোষ্ঠীকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এদের কাছে বিদ্যুত ক্রয় না করেও ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বছরে দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। তিনি জ্বালানী খাতের দুর্নীতিবাজদের ও ভুলনীতি প্রণেতাদের বিচার দাবি করেন।তিনি বেসরকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ না করে সরকারী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহের দাবী জানীয়ে বলেন, আমরা তাহলে কমদামে বিদ্যুৎ পাবো । তিনি বিদ্যুৎ খাতকে বানিজ্যিক খাত না ধরে সেবা খাত বিবেচনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেন ,এটিই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অংগীকার । তিনি বিইআরসি কে জনমত উপেক্ষা করে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত না দিয়ে, বিদ্যুৎ খাত থেকে অনিয়ম ,দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানান ।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, কোম্পানীগুলি লাভে থাকলেও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। এটা অনৈতিক। বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের প্রতীক পাট শিল্পকে ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। তাদের ন্যায্য দাবিতে অনশন করে মৃত্যুবরণ করছেন শ্রমিকরা।
হকার নেতা সেকন্দার হায়াত বলেন, ছোট দোকানদারদের বিদ্যুতের দাম ও শপিং মলের বিদ্যুতের দাম এক হয় কি করে ? তিনি ছোট দোকানদার,হকারদের কম দামে বিদ্যুত দেওয়ার দাবী জানান ।
ক্ষেতমজুর নেতা আরিফুল ইসলাম নাদিম বলেন, দেশে বেশী বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলা হয় কিন্তু গ্রামান্চলে লোড শেডিং সাড়া বিদ্যুৎ মেলে না ।পল্লী বিদ্যুৎ এর অত্যাচার থেকে গরীব মানুষ মুক্তি পায় নি ।
বাংলাদেশ মোবাইল ফোন রিচার্জ ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলু বলেন, বিদ্যুত উৎপাদন কোম্পানীগুলি ৪ শতাংশ কমিশন বিটিআরসিকে দিলেও আমরা এক টাকাও পাই না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, আমার বাড়িতে একটি ফ্যান, একটি ফ্রিজ ও একটি লাইট জ্বালিয়ে আগে বিল দিতাম ৩০০/৪০০ টাকা ।এখন বিল দিতে হয় ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা। এটা দুর্নীতি ছাড়া আর কিছু না।
সংগ্রিহীত গন স্বাক্ষর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেরটরী কমিশন এ জমা দেওয়া হবে ।