জাতীয়

গোবিন্দগঞ্জে তিন গ্রামের প্রায় ১০০০ অধিক সাঁওতাল পরিবার কর্মহীন

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার তিন গ্রামের প্রায় ১২০০ সাঁওতাল পরিবার করোনার লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। গ্রামগুলো হচ্ছে- কুয়ামারা, মাদারপুর ও জয়পুরপাড়া। জানা যায়, করোনা আতঙ্কে এ তিন গ্রামের অধিকাংশ মানুষ বাড়িতে বসে আছেন। তারা প্রশাসনের কাছ থেকে কোন ধরণের সাহায্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা অভিযোগ করেন- পুলিশ প্রশাসন ও রংপুর চিনি মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই স্থানীয় সরকার তাদের কোন সহায়তা করেনি।

অভিযোগকারীদের মধ্যে একজন বুদনী হাসদা (৬৫) বলেন, সরকার বলছে ঘরে থাকতে। আমরাও ভয়ে বের হচ্ছি না। এ অবস্থায় আমরা খুব অসহায় অবস্থায় রয়েছি। সরকার যদি আমাদের সাহায্য না করে আমরা কীভাবে বাঁচব?

তবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামকৃষ্ণ বর্মন বলেন, সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বরাদ্দগুলো ইতোমধ্যে ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। সাহেবগঞ্জ-বান্দা খামার এলাকার ২৫-৩০ টি পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও ৩০০-৪০০ সাঁওতাল পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হবে। কিন্তু, সাবেগঞ্জ-বাগদা ফার্ম এলাকার সাঁওতালরা অভিযোগ করেছেন, তারা এখনও কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি।

প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখ্য যে, ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম এলাকায় বিতর্কিত জমি থেকে আদিবাসীদের উচ্ছেদ করা নিয়ে সাঁওতাল, রংপুর সুগার মিলের কর্মচারী এবং পুলিশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে তিনজন সাঁওতাল মারা যান ও নয় জন পুলিশসহ ২০ জন আহত হন।

Back to top button