জাতীয়

রাঙ্গামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের বৈঠক

ভূমি কমিশন আইনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন সম্প্রদায়ের অধিকার খর্ব হবে না বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ও অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আনোয়ারুল হক।

তিনি বলেন, ভূমি কমিশনের আইনে সকলেই সঠিক বিচার পাবে। তবে আন্দোলনকারী সংগঠন গুলো যে দাবী করেছে তা সরকারের বরাবরে পাঠিয়ে দেয়া হবে, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে ভূমি কমিশন সেই ভাবেই কাজ করবে।

সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ভূমি কমিশনের শাখা অফিসে কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যা শৈ হ্লা, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার রাজা দেবাশীষ রায়, বান্দরবান বোমাং সার্কেল চীফ উ চ প্রু, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিস্পত্তি কমিশনের সচিব মোঃ আলী মনছুর উপস্থিত ছিলেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, ভূমি কমিশনের কাজ এগিয়ে চলছে। আগামী মাসেই বান্দরবানের ভূমি কমিশনের শাখা অফিস উদ্বোধন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ আইন সংশোধনের দাবীতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি-চট্টগ্রাম রুটে পাবলিক হেলথ এলাকায় সকালে সড়ক অবরোধ করে সমবেশ করেছে। এসময় ভূমি কমিশন বৈঠকে যোগদান করতে যাওয়া কমিশনের চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য সদস্যরা প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী অবরোধে আটকা পড়েন। পরে কমিশন চেয়ারম্যানের সাথে অবরোধকারী নাগিরক পরিষদের নেতৃবৃন্দ কথা বলেন।

এসময় কমিশন চেয়ারমান অবরোধকারীদের দাবী দাওয়া বা বক্তব্যে থাকলে পেশ করতে অনুরোধ জানালে অবরোধকারীরা পরে স্থান ত্যাগ করে জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বরের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এতে বক্তব্যে দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের নেতা মোঃ সোলেয়মান, মাওলানা আবু বক্কর,মোঃশাহ জাহান,মোরশেদা আক্তার প্রমুখ। সমাবেশ শেষে পরিষদের নেতৃবৃন্দ পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ আইন সংশোধনের দাবীতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

সমাবেশে বক্তারা পার্বত্য ভূমি কমিশন আইন একটি কালো আইন উল্লেখ করে বলেছেন এ আইনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্ধেক জনগোষ্টির সাংবিধানিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে এ কমিশনের আইন সংশোধন ও বৈঠক স্থগিত করতে হবে।

Back to top button