যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকারী ৫০০ অভিবাসী ও শরণার্থীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা মেক্সিকো সরকারের
মেক্সিকোর সীমান্ত বেস্টনি অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকারী ৫০০ অভিবাসী ও শরণার্থীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়ে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি দিয়েছে। রবিবার কয়েকশ অভিবাসী ও শরণার্থী মেক্সিকোর টাইজুয়ানায় মার্কিন সীমান্ত বেস্টনি অতিক্রম করে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করে। এ সময় মার্কিন বর্ডার পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বিবৃতিতে মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অভিবাসী ও শরণার্থীদের এই দলটি সহিংস ও অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করে।
এই ঘটনার পর মেক্সিকোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, প্রায় ৫০০ অভিবাসী সহিংস উপায়ে সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছে। যারা এই চেষ্টা করেছে তাদের চিহ্নিত করে শিগগিরই ফেরত পাঠানো হবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই ঘটনায় অভিবাসী ও শরণার্থীদের উদ্দেশ্য সফল করার চাইতে বৈধ অভিবাসনকে আরও জটিলতায় ফেলতে পারে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নারী ও শিশুসহ কয়েকশ মানুষ সীমান্ত বেস্টনির দিকে ছুটে যাচ্ছে। মার্কিন সীমান্ত কর্মকর্তারা তাদের ঠেকাতে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে।
এসব অভিবাসী ও শরণার্থীরা সেন্ট্রাল আমেরিকা থেকে ৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে তাইজুয়ানাতে জড়ো হয়েছেন। তারা বলছেন, নিজ দেশ হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা ও এল সালভাদোরে দারিদ্র, নিপীড়ন ও সহিংসতা এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চাইছেন।
রবিবার শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় প্রার্থীদের এই ক্ষোভের পেছনে মার্কিন কর্তৃপক্ষের আবেদন যাচাইয়ে মন্থর গতি দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন সংস্থা এক বিবৃতিতে জানায়, বন্দর দিয়ে অনেকেই অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে বলে আশঙ্কা থেকে সাময়িক সময়ের জন্য বন্দর দিয়ে সব ধরনের প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। পুনরায় খুলে দেওয়ার আগ পর্যন্ত ছয় ঘণ্টা বন্ধ ছিল বন্দরের কার্যক্রম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত অভিবাসনের আবেদন যাচাই শেষ না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত অভিবাসী হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের মেক্সিকোতেই রাখা হবে, যুক্তরাষ্ট্রের সীমানার মধ্যে ঢুকতে দেওয়া হবে না। শনিবার (২৪ নভেম্বর) ট্রাম্প এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, মেক্সিকো পাড়ি দিয়ে অভিবাসী হতে ইচ্ছুক যেসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে উপস্থিত হয়েছে তাদেরকে অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত মেক্সিকোর সীমান্তের মধ্যেই থাকতে হবে। মেক্সিকোতে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাওয়া ভবিষ্যৎ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের কোনও সমঝোতা হয়নি।