মেঘালয় ও বাংলাদেশের গারোদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অপার সম্ভাবনা রয়েছে- কনরাড কে. সাংমা
ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশের গারোদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্যে দুই দেশের গারোদের পারস্পরিক সান্নিধ্যে আসার পাশাপাশি বিভিন্ন কালচারাল এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম করতে হবে। ৭ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় রাজধানীর গুলশান মডেল স্কুল মাঠ প্রাঙ্গণে গারো জনগোষ্ঠীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এ তথ্য জানান মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে. সাংমা।
সভায় তিনি গারো জাতির দুই অবিসংবাদিত নেতা স্বর্গীয় পিএ সাংমা ও এড. প্রমোদ মানখিনকে স্বরণ করেন। এ সময় তিনি বলেন, গারো জাতির এই দুই নেতা গারো জাতির জাতীয় উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। অবাস্তবায়িত সেইসব পরিকল্পনা এখন আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। এসময় তিনি জানান, তার বাবার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সংস্কৃতি রক্ষা ও চর্চায় ভারতের মেঘালয় রাজ্যে ট্রাইবাল রিসার্চ ইনিস্টিটিউট তৈরী হচ্ছে।
মুখমন্ত্রী আদর্শ নেতার বৈশিষ্ঠ্য তুলে ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, জনগনের কষ্ট বুঝতে হলে নেতাকে জনগনের হাঁটা পথে হাঁটতে হবে। জনগনের কষ্ট বুঝতেই আমি আমার প্রতিনিধি দলদের নিয়ে উড়ো পথে না এসে হাঁটা পথে এসেছি।
মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদ জুয়েল আরেং’র নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন গারো সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। তিনি তার সমন্বয়ী বক্তব্যে জানান, রাষ্ট্রীয় সফরে মুখমন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন। বাংলাদেশের গারো আদিবাসী ভাইবোনদের সাথে মিলিত হতেই ব্যস্ত শিডিউলের মাঝেও এই মতবিনিময় সভায় মুখ্যমন্ত্রী অংশ নিয়েছেন। পরবর্তীতে দুই দেশের গারো আদিবাসীদের মাঝে সম্প্রীতি সভা, কালচারাল এক্সচেঞ্জের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে বলে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপ্রাড’র পরিচালক আলবার্ট মানখিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য রেমন্ড আরেং, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, ন্যাশনাল ওয়াইএমসির সেক্রেটারি নিপুণ সাংমা, উপসচিব হেমন্ত কুবি, সাংবাদিক নিখিল মানখিন, ঢাকা ওয়ানগালার সাবেক নকমা অনিত্য মানখিন, কবি পরাগ রিছিল, ঢাকা ওয়ানগালা বর্তমান নকমা শুভজিৎ সাংমা প্রমুখ।
কৃতজ্ঞতাঃ- janajatirkantho.com