জাতীয়

বাংলাদেশে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে সরকার

এই ছয়মাস পরে কী হবে, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ”আগে তো ছয়মাস যাক, তার পরে দেখা যাবে।”

‘এখানে বলা হয়নি যে, তিনি হাসপাতালে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা নিতে পারবেন না। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির ব্যাপারে তার কন্ডিশন অনুযায়ী দেখা যাবে।”

এই ঘোষণার পর বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিবিসিকে বলেন, ”সরকারের দিক থেকে কী বলা হচ্ছে, তা নিয়ে আমরা এখনো পরিষ্কার নই। এ নিয়ে আমরা নিজেরা আলোচনা করে আমাদের প্রতিক্রিয়া জানাবো।”

এর আগে বিদেশে চিকিৎসার জন্য মুক্তি চেয়ে স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল তাঁর পরিবার।

মিসেস জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম বিবিসিকে বলেছিলেন, তারা তাদের চিঠিতে প্যারোলের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু লেখেননি।

একইসাথে তিনি উল্লেখ করেছেন, এখন তাঁর বোনের জীবন বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া হলেও তাদের পরিবারের সদস্যদের কোনো আপত্তি থাকবে না।

তবে পরিবারের অন্য একটি সূত্র এবং সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পরিবারের চিঠিতে মানবিক কারণে সরকারের নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাওয়া হয়েছে।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন খালেদা জিয়া। তার মধ্যে গত ১১মাস ধরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

২০০৮ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ মামলা দায়ের হয়।

দশ বছর পর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে মামলার রায়ে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়।

তবে পরে হাইকোর্ট সেই সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

Back to top button