আন্তর্জাতিক

জম্মু কাশ্মিরের বিধানসভা ভেঙে দিয়েছেন গভর্নর সত্যপাল মালিক

সরকার গঠন নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের মধ্যে নাটকীয়তার পর জম্মু-কাশ্মিরের বিধানসভা ভেঙে দিয়েছেন রাজ্যটির গভর্নর সত্যপাল মালিক। বুধবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গভর্নর এমন সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। এদিকে বিজেপির ইশারায় গভর্নর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধীরা।

বিজেপি-পিডিপি জোট সরকার ভেঙে পড়ার পর গত জুন থেকে জম্মু-কাশ্মিরে গভর্নরের শাসন চলছে।
গত জুন মাসে পিডিপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে বিজেপি। কয়েকটি বিষয়ে বিবাদ হওয়ায় সরকার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি। তখন থেকে কাশ্মিরে গভর্নরের শাসন চলছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি গভর্নরের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তার আগে বুধবার (২১ নভেম্বর) বিরোধী দলগুলি জোট করে সরকার গঠন করতে সম্মত হয়। এদিন কংগ্রেস ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে গভর্নরকে চিঠি লেখেন পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি। এর মধ্য দিয়ে নজিরবিহীন ভাবে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছিল দল তিনটি। পিডিপি নেত্রী সংখ্যাগরিষ্ঠতার হিসাব দিতে গিয়ে দাবি করেন, ৮৭ আসনের জম্মু-কাশ্মির বিধানসভায় ৫৬ জন বিধায়ক তাদের সঙ্গে রয়েছেন।
কংগ্রেস-এনসি-পিডিপি জোটের সরকার গঠনের দাবি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসে গেরুয়া শিবির। মেহবুবা বাহিনীকে টেক্কা দিতে বিজেপিও তৎপর হয়ে ওঠে। বিজেপি-র সমর্থন নিয়ে পিপলস কনফারেন্সের সাজিদ লোনও গভর্নরের কাছে সরকার গঠনের দাবি জানান। তিনি দাবি করেন, বিজেপি ও অন্য দলের আরও ১৮ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে তাদের কাছে। লন্ডন থেকে বাড়ি ফেরার পথেই সরকার গঠনের দাবি জানিয়ে চিঠি লেখেন সাজিদ।

দুপক্ষ সরকার গঠনের দাবি জানানোর পর পরই বিধানসভা ভেঙে দেন গভর্নর সত্যপাল মালিক। সন্ধ্যায় প্রেস বিবৃতি দিয়ে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার কথা জানান তিনি। গভর্নরের এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছে বিজেপিবিরোদী দলগুলো। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ দাবি করেন, ‘গত ৫ মাস ধরে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার দাবি করে আসছি। কিন্তু মেহবুবা মুফতির সরকার গঠনের আবেদন করার কয়েক মিনিটে মধ্যেই আচমকা বিধানসভা ভেঙে দিলেন গভর্নর।’ এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ। একইসুরে কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন সোজ বলেছেন, ‘আদালতের শরণাপন্ন হওয়া উচিত মেহবুবা মুফতির। অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে কেন্দ্রের ইশারায় বিধানসভা ভেঙে দিয়েছেন গভর্নর।’

Back to top button