আঞ্চলিক সংবাদ

রাজশাহীতে সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে আদিবাসী কোটা বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে আদিবাসী কোটা বাতিলের প্রতিবাদে আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে গত ৪ অক্টোবর ২০১৮ বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর গণকপাড়া মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজশাহী সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ মিছিলে ও সমাবেশে আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নকুল পাহানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক তরুন মুন্ডা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অগাস্টিন কিস্কু, দপ্তর সম্পাদক রাজেশ মাহাতো, রাজশাহী কলেজ শাখার সভাপতি সাবিত্রী হেমব্রম, কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক পলাশ পাহান, অর্থ সম্পাদক অনিল রবিদাস, সদস্য অনিল গজার, ভজন উরাও প্রমুখ।
সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক মানিক সরেন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি বিভূতী ভূষণ মাহাতো, আদিবাসী যুব পরিষদ রাজশাহী জেলার যুগ্ম-আহবায়ক হুরেন মুর্মু, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি যাকোব এক্কা, নবজাগরণ ছাত্র সমাজের উপদেষ্টা তামিম সিরাজী, সাবেক সাঁওতাল ছাত্র নেতা সুবাস মুর্মু প্রমুখ। এছাড়াও সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন সাঁওতাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন (সাসু) রাজশাহী মহানগর সভাপতি সেনাস মার্ডি, সাধারণ সম্পাদক বেঞ্জামিন কিস্কু।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীতে মন্ত্রিপরিষদের আদিবাসী কোটা বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আদিবাসীদের কোটা বহালের দাবি জানান। আমরা আদিবাসীরা আদিবাসীদের কোটা বাতিলের হঠকারী সিদ্ধান্তকে মানি না। সরকার আদিবাসীদের মতামত না নিয়ে কোটা বাতিলের একক সিদ্ধান্তকে আদিবাসীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে এটা আদিবাসীরা মানি না। সরকার আদিবাসীদের বর্তমান জীবনযাত্রার মান ও আর্থ-সামাজিক অবস্থাকে পর্যবেক্ষনে না নিয়ে কোটা বাতিল করেছে। এখনো আদিবাসীরা সরকারের উন্নয়নের বাহিরে থেকে গেছে। নতুন করে কোটা বাতিল আদিবাসী সমাজকে আরো পিছিয়ে দিল। এখনো আদিবাসীরা নির্যাতিত, খুন, ধর্ষণ, ভুমি থেকে উচ্ছেদ, দেশ ত্যাগে বাধ্য, বিচারহীনতা, অগ্নিসংযোগ, জবর দখলের মত ঘটনা ঘটছে। আমরা এসব থেকে আইনের শাষন প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বর্তমানে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা শিক্ষায় আলোকিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কাজে কর্মসংস্থানের জন্য কোটার প্রয়োজন। ঠিক সেই সময়ে আদিবাসীদেরকে তাদের কোটা অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রাষ্ট্র আদিবাসীদের অধিকারকে ভুলন্ঠিত করেছে। অনতিবিলম্বে আমরা আদিবাসীদের কোটা পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রের কাছে দাবি করছি।

Back to top button