অন্যান্য

জাতিসংঘের আদিবাসী ফেলোশিপে প্রথমবার বাংলাদেশের আদিবাসী নারী

নিজস্ব সংবাদদাতাঃ জাতিসংঘের আদিবাসী ফেলোশিপ প্রোগ্রামের জন্য এবছর প্রথমবারের মত বাংলাদেশের একজন আদিবাসী নারীকে নির্বাচিত করা হয়েছে। জাতিসংঘ ২০১৬ আদিবাসী ফেলোশিপে অংশগ্রহণ করার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন SPaRC (Supporting People and Rebuilding Communities) এর প্রতিষ্ঠাতা, মানবাধিকার কর্মী ও গবেষক মুক্তাশ্রী চাকমা সাথী। তিনি জাতিসংঘের আদিবাসী ফেলোশিপে অংশ নিতে ইতোমধ্যেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে অবস্থান করছেন।

জাতিসংঘের এই প্রোগ্রামটি শুরু হয় ১৯৯৭ সালে। গত ১৯ বছরে বাংলাদেশ থেকে মাত্র ৫ জন এই প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছেন।

আদিবাসী ফেলোশিপ কর্মসূচী জাতিসংঘের একমাস ব্যাপী বিশ্লেষণধর্মী মানবাধিকার প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম যা বিশ্ব আদিবাসী (১৯৯৫-২০০৪) এর প্রথম আন্তর্জাতিক দশকের প্রেক্ষাপটে ফর হিউম্যান রাইটস (OHCHR)এর অফিস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ কর্মসূচী প্রবর্তনের পর থেকে, সারা বিশ্ব থেকে ৩০০ জনের বেশি নারী পুরুষকে মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।

এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য বিদ্যমান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিল এবং মেকানিজমের উপর আদিবাসীদের উন্নত ধারণা প্রদান করা, যেন তারা এটা ব্যবহার করতে পারেন এবং আরও কার্যকরভাবে মানবাধিকার রক্ষার্থে কাজ করতে পারেন। এ প্রশিক্ষণ জাতিসংঘের সিস্টেম, OHCHR ম্যান্ডেট এবং কার্যক্রম, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস চুক্তিসমূহ, কনভেনশন, ঘোষণা এবং ম্যাকানিজম – হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল, চুক্তি ও বিশেষ পদ্ধতির উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
এছাড়াও এই প্রশিক্ষণে মনোনীত ফেলোগণ সক্রিয়ভাবে EMRIP (Expert
Mechanism on the Rights of Indigenous Peoples)-এর বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। উপরন্তু তারা জাতিসংঘের এবং এর বিশেষ সংস্থা (আইএলও, ডব্লিউআইপিও, ইউনেস্কো, ইউনিসেফ) এবং DoCip সহ জেনেভা ভিত্তিক মানবাধিকার এনজিও সম্পর্কে ধারণা গ্রহণ করে ও তাদের সাথে কাজ করার সুযোগ পায়।

Back to top button