নিয়ামতপুরে বিষ ছিটিয়ে ফসল নষ্ট করার ঘটনায় আদিবাসী নেতৃবৃন্দের সরেজমিনে পরিদর্শন
নওগাঁর নিয়ামতপুরের ইকরাপাড়ায় আদিবাসী উরাও সম্প্রদায়ের মানিক মিনজ্, পিতাঃ মৃত: চন্দ্র মিনজ্ এর ফসলি জমিতে গত ২৩ এপ্রিল ২০১৮ বিষ দিয়ে ধান নষ্ট করার ঘটনায় আজ ২৮ এপ্রিল ২০১৮ দুপুর ১২.০০টায় জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, আদিবাসী যুব পরিষদ এবং আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদশন করে।
সরেজমিনে পরিদর্শন করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধরণ সম্পাদক সবিন চন্দ্র মুন্ডা, দপ্তর সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র হেমব্রম, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধারণ সম্পাদক টুনু পাহান, নিয়ামতপুর থানার সাধারণ সম্পাদক অজিত মুন্ডা, মান্দা থানার সাবেক সভাপতি সুনিলাল পাহান, আদিবাসী যুব পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নরেন পাহান, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি নকুল পাহান, চাপাইনবাবগঞ্জ জেলা সাধরণ সম্পাদক দিলীপ পাহান, কেন্দ্রীয় সদস্য অনিল গজার প্রমুূখ। এলাকাবাসীদের মধ্যে মোঃ বেলাল আলী, মোঃ নজীমুদ্দিন, মোঃ কয়েশ আলী, বিষ্টু উরাও, গোপাল গজার, পদমনি মিনজ্, বুধনি উরাও সহ গ্রামবাসী। পরিদর্শন শেষে এলাকাবাসীর সাথে সংক্ষিপ্ত মত বিনিময় সভা করা হয়।
শরেজমিনে দেখা যায়, জমির মালিক মানিক মিনজ এর দুই বিঘা জমিতে প্রায় ৭০ মন ফসলি ধান নষ্ট করে একই এলাকার বাসিন্দা মো: তাইজুদ্দিনের (৭০) ছেলে মো: আঃ রশিদ, মোঃ শাহাজাহান, মোঃ মোজাম্মেল কালু, মোঃ ফারুক, মোঃ সোহেল রানা। ৭০ মন ধানের বর্তমান বাজার মূল্যে প্রায় ৭০ হাজার টাকা। চার শ আম গাছের ক্ষতির পরিমান ৪০ হাজার টাকা। এলাকাবাসীর বলেন, মানিক মিনজের ৯১শতক জমি দখলে নিতে তাইজুদ্দিন আলী মন্ডল জাল দলিল তৈরী করে। এই জমি দখল করার জন্য তাইজুদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের হুমকি এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। তারই ধারাবাহিকতায় ইরি ধানের জমিতে বিষাক্ত কীটনাশক ছিটিয়ে ধান ও আম গাছ নষ্ট করে। এ ঘটনায় জমির মালিক মানিক মিনজ্ গত ২৭ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে নিয়ামতপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন।
পরিদর্শণ শেষে আদিবাসী নেতৃবৃন্দ নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব, মোঃ আকরাম হোসেনের সাথে মত বিনিময় করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি এবং উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করে দেওয়ার আশস্ত করেন।