জাতীয়

রাঙামাটিতে কমছে শিক্ষার মানঃ চলছে বর্গা পদ্ধতি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার মান বাড়ছে না। দিন দিন কমছে। পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক বৃত্তি পরীক্ষায় বৃত্তি পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারছেন না। ফলে এ বৃত্তি পরীক্ষা আয়োজনের কোন সফলতা আসছে না। দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দায়িত্ব পালন করেন না। তারা বর্গা দিয়ে শহরে অবস্থান করেন। এর কারণে প্রাথমিক শিক্ষার মান ভাল নয়।’

বৃহস্পতিবার সকালে রাঙামাটি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে রাঙামাটি জেলা পরিষদের ৭ম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় এসব কথা বলেন বক্তারা।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান বলেন, রাঙামাটি জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবস্থা খুব নাজুক। রাঙামাটি শহরে রাণী দয়ামীয় উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মত বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পায় না। এখানে সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা দেয়া আছে, কিন্তু এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোন শিক্ষার্থী বৃত্তি পায় না। ঘুরে ফিরে লেকার্স, নৌ-বাহিনী, রাবেতা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পাচ্ছে। নতুন কোন বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, রাঙামাটি জেলায় বিদ্যালয়গুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই। যেগুলোতে আছে, তারাও নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেন না। বর্গা দিয়ে শহরে থাকেন শিক্ষকরা। এর কারণ হলো দুর্গম এলাকা, টিউশন করার সুবিধা না পাওয়া, স্থানীয়দের নিয়োগ না দেয়া। পাহাড়ি অঞ্চলে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হলে মেধার পাশাপাশি স্থানীয় প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এ বৃত্তি চালু করেছি সে উদ্দেশ্য পূরণ হচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এ বৃত্তি চালু রাখা কষ্ট হবে। ২০১৭ সালে এ বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা নিশ্চিত নয়।

তিনি বলেন, শিক্ষার মান উন্নতি হচ্ছে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে এখনও নকল করার প্রতিযোগিতা চলে। এ থেকে উত্তোরণ ঘটাতে হবে।

অনুষ্ঠানে মোট ১৫১ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এর মধ্যে অনন্য মেধায় ১ জন, ট্যালেন্টফুলে ৫০ জন এবং সাধারণ বৃত্তি ১শ জন। অনন্য মেধাবীকে দেয়া হয় ৬ হাজার টাকা, ট্যালেন্টফুলে বৃত্তিপ্রাপ্তকে ৪ হাজার এবং সাধারণ বৃত্তি প্রাপ্তকে ৩ হাজার টাকা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- রাঙামাটি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমেদ, রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, কাপ্তাই নৌ বাহিনী ক্যাম্পের কমান্ডার ও নৌ বাহিনী উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রুহুল আমিন সরকার, সাবেক জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জুলিকা খীসা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা প্রমুখ।

Back to top button