মিল্টন পাংখোয়া’র পাংখোয়া ভাষার দুই কবিতা প্রকাশ

আইপিনিউজ ডেস্ক (রাঙ্গামাটি): চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মিল্টন কেরি পাংখোয়া’র পাংখোয়া ভাষার দুইটি নতুন কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। কবিতা দুইটি তিনি বাংলায়ও অনুবাদ করে দেন। কবিতা গুলোতে তরুণ যুবদের জাতপ্রেমে উদ্ভুদ্ব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১. Hmalakna
Unau te hou hun sawt kan nei lo,
mangtia kan kal zel kho at ma?
Khawvel Mi Tangkai pung zel sungin Kei ni te,
In mi thaw ei Ti lo ma ;
Rilru in Vawng zel ei ti ;
Kan Hmani chi le kuang chu itik men phet ei tilo,
Khawvel Mi zuam kho ding chang seng ei ti
Theitawk in lung rual kan Zui zel kho na Rilru pek ei ti.
Naupang sung thawkan, kan na Rawl hleng ri,
Zirna Tikangin masawn kan Seii lian ding,
Kan Pi-Pu ei Thlang thawkan suak kan am mi
Khawvel eng Amdan Thrang thar ho men mu ei ti.
Tualai Digital hun sung in kan Hnam Phumkhat na ngei Hlut na pek ei ti.
Aw Nula -Tlangval ei, kan Hnam Ngei In kutsui rel ei ti ;
Kan Chawng, kan Chhungkua, Rilru Munkhat chu Nuam e,’
Aw Theila Lo kan, Mangtia Lampui Bawzui zel Ding.
বাংলা অনুবাদ :
জাগরনের নতুন সময়
হে আমার জাতি ভাইবোনেরা সময় আর দেরি নেই,
জাগরনের নতুন সময় এসেছে,সামনে যেতে পারব?
জগতের লোকেরা উন্নয়ন জোয়ারে সাধিত হওয়ার সময়ে,
ঘুমন্ত অবস্থা থেকে জেগে উঠতে হবে আমাদেরকে।
অন্তরে গেথে রাখিব সবসময় ;
নিজস্ব জনগোষ্ঠীর প্রতি,আত্নার বন্ধনে থাকিবে আমার,
জগতের লোকেদের সাথে পেরে উঠার জন্য লড়তে হবে আমাদের
ঐক্যবদ্ধভাবে বজায় রেখে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মনোভাব রাখতে হবে।
সেই শৈশবকাল থেকে শুরু হয়েই এখন অবধি,
শিক্ষা-দীক্ষায় মনযোগী হয়ে বেড়ে উঠা দরকার,
পুর্বপুরুষেরা সেই পাহাড় -পর্বত ডিঙিয়ে নিয়ে এসেছে যেন,
জগতের আলোর পথে আলোকিত হোক এই যুবসমাজ।
এই ডিজিটাল সময়ে নিজস্ব জাতিগোষ্ঠী সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার প্রাধান্য দিই,
হে তরুন- তরুনীরা নিজের ‘ই’ জাতির মধ্যে হাতে -হাত রাখি;
নিজস্ব ভাষা, নিজস্ব পরিবার, নিজস্ব মনের মিলন কতই যে মধুর:
ভুলে না গিয়ে সামনে যে জাগরনের পথ পাড়ি দিতে হবে আমাদের।
২. কান জৌ হ্লাংরাম
অ কান জৌ হ্লাংরাম, কান না পিয়াং না মুন,
ই তারাক মে না এননোয়াম কা মিত ইন আপাক লৌ।
সিমতিয়া – মারতিয়া হ্লাং সাং তাক তাক এই
কান পি,পু এই খসাক না মুন কান নুকরুই ইন যমমি।
সাইচাল,লুংজিয়াক,সিয়াল্ডাই, হ্লাংপুই, কংলাক,চিপ্পুই,বেথহ্লিং, সাজেক কান না চেং না মুন।
যালেন না মুন হলতো, খহ্লাং ইন লুংরোয়াল কান
পাসালঠা নাম কান জৌ নাম।
লুংলেং হ্লাক কান রাম জৌ হ্লাং, জালেন না মু লৌ ইন কান কাল সান।
তামতাক কান আম না মুন কান হাউ রোয়া,
মিসিং, মি চাংকাই কান আম লৌ না ভাং ইন
নামপুই নং ইন জালেন কান আম ইয়াম মি, মাং লং কান সক ইয়াম মি,
কান জৌ নাম আম না বেই রোয়া,
অ কান হ্লাং রাম নোয়াম মেলমু দো খামলা কান হাউ আত নে রোয়া।৷ …
বাংলা অনুবাদ :
আমাদের ‘জৌ’দের পাহাড়
হে আমাদের জৌ দের পাহাড়, আমাদের জন্মস্থান
এতই মাধুরী অপরুপ সৌন্দর্যে ভরা, চোখ দিয়ে দেখা যায়না।
উত্তর- পশ্চিমে এত বিশাল বিশাল পাহাড় -পর্বত
পুর্ব-পুরুষদের আদি বাসস্থান এখানেই নাড়ি-নক্ষত্র জড়িয়ে আছে।
সাইচাল, লুংজিয়াক, সিয়ালডাই, হ্লাংপুই, তুইচই, কংলাক, চিপ্পুই,বেথহ্লিং, সাজেক আমাদের জৌদের পাহাড় এখানেই বসবাসরত ছিল।
স্বাধীনচিত্তে ঘুরেবেড়া প্রিয়, সামাজিক কাঠামোতে ঐক্যবদ্ধ, অরন্যচারী শিকারজীবি জৌ জাতি।
কতই বিজরিত স্মৃতিতে ভরা আমাদের জৌ পাহাড়ে, স্বাধীন না পাওয়ায় চলে যেতে হবে,
অধিকাংশ হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের প্রিয় পাহাড় শুধুমাত্র
জ্ঞানীগুণী – সচ্ছলতার অভাবে কারনে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের কাছে স্বাধীনচেতা অরন্য শিকারী প্রিয়, জৌ জাতি থাকার জায়গা হারিয়ে যাচ্ছে,
হে আমাদের অতি সৌন্দর্যের ভরা পাহাড় বার বার দেখার ইচ্ছা জাগলেও তোমাকে হারিয়ে বসেছি।…..
কবি পরিচিত :
মিলটন কেরি পাংখোয়া তরুণ উদীয়মান লেখক ও সংস্কৃতিকর্মী। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। পাংখোয়া ভাষায় কবিতা লিখছেন। সংস্কৃতি জগতেও বেশ পরিচিতি মুখ মিল্টন কেরি। তিনি প্লুং ব্যান্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। পাশাপাশি চিটাগং হিল ট্রাক্টস রাইটার্স ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে আদিবাসী ভাষা ও সাহিত্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।


