পৈত্রিক ভূমি ফেরতের দাবিতে সাহেবগঞ্জে রোড মার্চ ও সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

“বাগদাফার্মের সাঁওতালদের পৈত্রিক জমি ফেরত চাই”, “তিন ফসলি রক্তভেজা জমিতে NO EPZ”, “সাঁওতাল হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের বিচার চাই”—এই শ্লোগানগুলো সামনে রেখে আজ দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে অনুষ্ঠিত হলো “রোড মার্চ টু ঘোড়াঘাট” ও সম্প্রীতি সমাবেশ।
আজ দুপুর ১২টায় কাটামোড় থেকে শুরু হয়ে বাগদাফার্ম হয়ে ওসমানপুর উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত দীর্ঘ রোড মার্চে অংশ নেন অসংখ্য আদিবাসী ও বাঙালী অধিকারকর্মী। আয়োজনের নেতৃত্বে ছিল সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, যার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আদিবাসী বাঙালী সংহতি পরিষদ, আদিবাসী ফোরাম, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, কাপেং ফাউন্ডেশন, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদ সহ বেশ কয়েকটি সংগঠন। সভাপতিত্ব করেন ডা. ফিলিমন বাসকে।
কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন আদিবাসী বাঙালী সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বাবু, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর কবির তনু, সমাজ কর্মী মনির হোসেন সুইট, সাহেদা, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী প্রামানিক, এ্যাড. ফারুক কবির, শিক্ষানবিশ আইনজীবী সুমন রবিদাস, রবিদাস নেতা খিলন রবিদাস, সুজন রবিদাস, কজল রবিদাস, আদিবাসী উন্নয়ন সংস্থা ঘোড়াঘাটের সভাপতি, লুইস মুরমু, প্রিসিলা মুরমু, হিরা মুরমু, বিটিশ সরেন, মইনুল, অঞ্জলি মুরমু, শ্যামবালা হেমব্রোম, রিপন বেসরা জয়, দিপন সহ অগুনিত সাঁওতাল বাঙালী।
ওসমানপুর উপজেলা পরিষদে বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করে মাইলস্টোন স্কুল ট্র্যাজেডিতে নিহতদের স্মরণ করা হয়। এরপর বক্তারা ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর সাহেবগঞ্জ-বাগদাফার্ম এলাকায় আদিবাসীদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিচার না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বক্তরা বলেন, “সাঁওতালদের জমিতে ইপিজেড গড়ার পাঁয়তারা চলছে—এটা উন্নয়নের নামে ভূমি দখল ও জাতিগত নিপীড়নের আধুনিক রূপ।”
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আদিবাসীদের পৈত্রিক জমি ফেরত না দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তারা এই সংগ্রামকে জমির লড়াই নয়, অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই হিসেবে বর্ণনা করেন।