১৭ জুন ২০২৫ (মঙ্গলবার) জাতীয় আদিবাসী পরিষদের চাটমোহর উপজেলা কমিটির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপজেলা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনে আনন্দ লোহার সভাপতি, রতন সরদার সাধারণ সম্পাদক এবং পলাশ কর্মকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চাটমোহর উপজেলা নিবার্হী অফিসার নাছের চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সংগ্রামী সভাপতি বিচিত্রা তির্কী। প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক নরেন চন্দ্র পাহান।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বগুড়া জেলার সভাপতি সন্তোষ সিং, নাটোর জেলার সভাপতি রঘুনাথ এক্কা, সাধারণ সম্পাদক প্রতাব সিং, পাবনা জেলার সভাপতি আশিক চন্দ্র বার্নিয়াস, সাধারণ সম্পাদক চন্ডি চন্দ্র বাগদী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ চাটমোহর উপজেলার সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যুগ্ন আহবায়ক আনন্দ লোহার, যুগ্ন আহবায়ক ভীমরাজ মাহাতো, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অনিল গজাড়, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ নওগাঁ জেলা কমিটির সভাপতি মিঠুন চন্দ্র পাহান, আদিবাসী ছাত্র পরিষদ পাবনা জেলার আহ্বায়ক অপূর্ব কুমার সিং।
সংহতি বক্তব্য রাখেন পাবনা জেলার ট্রেড ইউনিয়নের সমন্বয়ক কমিটির সাধারণ সম্পাদক পাভেল হোসেন জাহাঙ্গীর, চাটমোহর উপজেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি র সদস্য সচিব হাসাদুল ইসলাম হীরা, চাটমোহর উপজেলার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি পৌর শাখার সভাপতি আসাদুর জামান আরশেদ, চাটমোহর উপজেলা দৈনিক চলন বিলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাকিবুল রহমান টোকেন, চাটমোহর উপজেলা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল রশিদ, মোঃ আব্দুল রহমান টিক্কা।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের চাটমোহর উপজেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কর্ণ মুরারী এর সভাপতিত্বে ও আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব বিদ্যুৎ ভুইমালী।
সম্মেলনে চাটমোহর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পাচঁ শতাধিক এর অধিক বিভিন্ন আদিবাসী সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ করে।
সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে আনন্দ লোহারকে সভাপতি, রতন সরদার সাধারণ সম্পাদক এবং পলাশ কর্মকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন করা হয়।
সম্মেলন থেকে নিম্নোক্ত দাবি সমূহ উত্থাপন করা হয়-
১. আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।
২. সমতলের আদিবাসীদের জন্য স্বাধীন ভুমি কমিশন ও পৃথক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে।
৩. খাস জমিতে বসবাসরত আদিবাসীদের দখলী শর্ত ভূমি চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিতে হবে।
৪. আদিবাসীদের সকল প্রকার অন্যায়, নির্যাতন, ভূমি থেকে উচ্ছেদ, অগ্নিসংযোগ সহ হত্যা বন্ধসহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
