জাতীয়

সাংবিধানিকভাবে আদিবাসী স্বীকৃতিসহ আত্মমর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতির দাবিতে ঢাকায় আদিবাসী গণসমাবেশ

আইপিনিউজ ডেস্ক (ঢাকা): “আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে, আত্মমর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতি আদায়ে আদিবাসীদের অস্তিত্ব রক্ষার সংগ্রাম জোরদার করুন”- এ স্লোগানে আজ ৩১ জানুয়ারি, শুক্রবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের উদ্যোগে এক গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রতিবাদী গান পরিবেশনা করে আদিবাসী গানের দল- দি রাবুগা ও মাদল। বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহসভাপতি অজয় এ মৃ’র সভাপতিত্বে এবং পল্লব চাকমা, উজ্জ্বল আজিম, রিপন চন্দ্র বানাই ও হিরন মিত্র চাকমার যৌথ সঞ্চালনায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জুম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীদের মাধ্যমে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে গণসমাবেশের সূচনা হয়।

শুভেচ্ছা বক্তব্যে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ সাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানে যেমন বাঙালি ভিন্ন অপরাপর আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীদের স্বীকার করা হয় নি। স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা আমাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন, লড়াই সংগ্রাম করেছি, চব্বিশের গণঅভ্যূত্থানের পরে আমরা আরো নতুন করে স্বপ্ন দেখেছিলাম এই দেশ একটি বহুত্ববাদী ও বহুজাতিক দেশ হিসেবে নিজেকে প্রকাশ করবে, কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি ঢাকার রাজপথে আদিবাসী ছাত্র-জনতার ন্যায্য দাবি জানানোর গনতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে উগ্রবাদীরা ন্যাক্কারজনক হামলা করে। তিনি তাঁর বক্তব্যে অধিকার আদায়ে পাহাড় থেকে সমতলে সবখানেই লড়াইয়ের ঘোষনা দিয়ে সরকারের প্রতি হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আহ্বান জানান।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক জগদীশ চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, এই রাষ্ট্র আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীকে স্বীকার করতে চায় না। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই সংগ্রাম করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন এই চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও কোন সরকারই চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়নে ইচ্ছা পোষন করে নি। তিনি তার বক্তব্যে সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক মন্ত্রনালয়সহ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নসহ এনসিটিবির সম্মুখে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর হামলাকারীদের অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অলিক মৃ তার বক্তব্যে বলেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হচ্ছে সবাই সবার মতামত প্রকাশ করতে পারবে, কিন্তু আমরা যখনই শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবি আদায়ে অগ্রসর হচ্ছিলাম তখনই স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি নামক সন্ত্রাসী সংগঠন আমাদের উপর হামলা করে। তিনি সরকারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্তদের দ্রুত আই ওয়াশ বন্ধ করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান ও আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, সমতলে পৃথক ভূমি কমিশন ও হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনান আহ্বান জানান অন্যথায় তিনি দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা প্রদান করেন।

বাংলাদেশ আদিবাসী যুব ফোরামের সহ সভাপতি টনি চিরান তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও বাংলাদেশের আদিবাসীরা বিভিন্নভাবে নিপীড়িত-নির্যাতিত। বাঙালির মতো আদিবাসীরাও কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে সাম্য-মানবিক মর্যাদার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। কিন্তু আজ অবধি আমার-আমাদের আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতির জন্য গণসমাবেশ করতে হচ্ছে, রাজপথে রক্ত দিতে হচ্ছে। তিনি তার বক্তব্যে আদিবাসীদের আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতির দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে লড়াই করার আহ্বান জানান।

সাহেবগঞ্জ বাগদাফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, গাইবান্ধা’র সভাপতি ফিলিমন বাস্কে: আদিবাসীদের উপর হামলা আমরা কখনোই মেনে নিতে পারছি না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে কোন সরকার আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির দেওয়া তো দূরের কথা, এই বিষয়ে চিন্তা করেছে কিনা আমি সে বিষয়ে সন্দিহান।

জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি বিচিত্রা তির্কী বলেন, বাংলাদেশ রাষ্ট্র আমাদের আদিবাসীদের একটার পর একটা পরিচয় চাপিয়ে দিচ্ছে, কিন্তু কেউই কোনদিন জিজ্ঞাসা করলো না আমরা কি হিসেবে পরিচিত হতে চাই?

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী নিকোলাস চাকমা তার বক্তব্যে বলেন, আজ আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে উপস্থিত হয়েছি আমাদের মনের কথা দেশবাসী ও রাষ্ট্রের কাছে শোনানোর জন্য। আদিবাসীদের ব্যাপারে বর্তমান ইন্টেরিম গর্ভমেন্টের চিন্তা কি? এই প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ, ক্ষমতায় না থাকলে সব দল ও ব্যক্তিই আদিবাসী বলে কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার পরে কেন আমাদের পরিচয় চাপিয়ে দেওয়া হয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। তিনি আদিবাসী প্রসঙ্গে বর্তমান সরকারের অবস্থান পরিস্কার করার ও একই সাথে সংবিধান সংস্কার করে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের আহ্বান জানান।

লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ তার বক্তব্যে বলেন, এনসিটিবি যে গ্রাফিটি ব্যবহার করেছে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশের জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ও প্রতীক। জুলাই অভ্যূত্থান একই সাথে অন্তর্ভূক্তিমূলক ও বহুত্ববাদী রাষ্ট্র গঠনেরও বার্তা দেয় যেটি প্রকাশ পেয়েছিল সেই গ্রাফিটিতে। যেই গ্রাফিতি এনসিটিবি সরিয়েছে সেটি একইসাথে অভ্যূত্থানের জনআকাঙ্ক্ষার সাথে প্রতারণা। আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিলে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এই ধরনের বাইনারি বিভাজন করা হয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন যুগ্ম সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার কথা ছিল কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, নানাক্ষেত্রে এখনো পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বৈষম্যকে জিইঁয়ে রাখা হচ্ছে। দেশের সংবিধানে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদানের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আদিবাসী শুধুমাত্র একটি পরিচয় নয়, এর সাথে ভূমির অধিকার জড়িত, ভাষার অধিকার জড়িত, সংস্কৃতির অধিকার জড়িত, অস্তিত্ব রক্ষার অধিকার , ন্যায্যতার অধিকার জড়িত।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা সাম্প্রতিককালে যে সহিংসতা দেখছি, বৈষম্যকে জিইঁয়ে রাখতে চায় এরকম সংগঠন তার চরম বৈষম্যমূলক দাবি যার কারনে এনসিটিবি তার বইয়ের প্রচ্ছদ থেকে বাংলাদেশের জনআকাঙ্ক্ষার গ্রাফিতি মুছে দিয়েছে আমি তার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। সেই অপশক্তির পেছনে কারা আছে সে প্রশ্নটা আমাদের তুলতে হবে। আমরা বিশ্বাস করতে বাধ্য হচ্ছি যে, এই অপশক্তি কর্তৃত্ববাদী সরকারের একটি অংশ যারা চায় না বাংলাদেশ একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ হোক।

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী আবুল হোসেন রুবেল তার বক্তব্যে বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলতে আমাদের এইখানে যেইটা বুঝানো হয় সেটি হচ্ছে সংখ্যাগরিষ্ঠের গণতন্ত্র। কিন্তু গণতন্ত্রের অর্থ মানেই হচ্ছে ক্ষুদ্র অংশকেও আপনাকে রক্ষা করতে হবে, তার কথা শুনতে হবে, তার অধিকার রক্ষা করতে হবে।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন এর সংগঠক নির্মল রোজারিও বলেন সরকারকে আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সদিচ্ছা থাকতে হবে।

১৫ জানুয়ারির হামলায় আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুপাইয়া শ্রেষ্ঠা তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, আপনারা কখনো জানতে চেয়েছেন তারা কেন আমাদের মারতে চায়? কেন তারা আমাদের নিঃশেষ করতে চায়? আদিবাসী কোন শব্দ নয়, এটি একটি অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এটি আমাদের সবারই নৈতিক দ্বায়িত্ব আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করা।

হামলায় আহত ডন জেত্রা বলেন, শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য লড়াই করে যেতে হবে। আদিবাসীরা কোনদিন অন্যায়ের সাথে আপোষ করে নি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। তারা কারা? যে আমার পরিচয় নির্ধারণ করে দিতে চায়? আমার পরিচয় নির্ধারণ করবো আমি। বাংলাদেশে আদিবাসী আছে, ছিল থাকবে। অধিকার আদায়ে সিধু-কানু, এমএন লারমারা প্রানী দিয়েছেন আমরাও আমাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির জন্য প্রয়োজনে প্রান উৎসর্গ করবো।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নানা অশুভ শক্তি দেশের নানা জায়গায় ওৎঁপেতে রয়েছে এই দেশের যা কিছু অর্জন সেসব অর্জনকে ধুলোয় মিশিয়ে দিতে। বাংলাদেশের মানুষ নব্বইয়ের আন্দোলন ভুলে গেছে, ঠিক তেমনি আমি বলতে চাই চব্বিশের চেতনার মশাল যদি প্রজ্জ্বলিত না করতে পারেন, বর্তমান সরকারে যারা দ্বায়িত্বে আছেন তাদের নীতি-আদর্শ যদি ঠিক না থাকে, অন্তর্ভুক্তিমূলক বহুভাষা-বহুধর্ম-বহুজাতির, বহুত্ববাদের দেশ গড়তে যদি সফল না হন তাহলে মানুষ চব্বিশও ভুলে যাবে।

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, আদিবাসী ছাত্র-জনতার উপর ঢাকার রাজপথে হামলার স্বীকার হয়েছে যা খুবই দুঃখজনক। স্বাধীনদেশে দেশের সকল মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে সসম্মানে মর্যাদার সহিত বসবাস করবে সে আশায় গুড়েবালি দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে বাঙালি ভিন্ন অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীদের স্বীকৃতি দেওয়া হল না। জুলাই অভ্যূত্থানের পরে আমরা দেশবাসীও নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ বিনির্মানে যেখানে কোন ধরনের বৈষম্য থাকবে না। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, বৈষম্য নিরসনে বর্তমান দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সরকার এখনো পর্যন্ত তেমন কোন পদক্ষেপ দেখাতে পারে নি যা আমাদের হতাশ করেছে বলে বক্তব্যে বলেন তিনি।

দৈনিক সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সবাই অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু নতুন বাংলাদেশ গঠনের কয়েক মাস পার হতেই দূভার্গ্যজনকভাবে আদিবাসীদের উপর তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করা হয়। অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে সবাই থাকবে, কাউকেই যেন বাদ দেয়া না হয়। আজকে বাংলাদেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি মবতন্ত্রের উচ্ছ্বাস। মবতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রন করে সবার নিরাপদ বাংলাদেশ ও সবার অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানিয়ে গণসমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন।

সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স তার বক্তব্যে বলেন, এই দেশ শুধুমাত্র এক ধর্মের না, শুধুমাত্র এক জাতির না। বাংলাদেশে বহুধর্ম বহুজাতির মানুষ সুদীর্ঘকাল থেকে আছে, রয়েছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সকল জাতির সকল ধর্মের মানুষ কাধেঁ কাধঁ মিলিয়ে লড়াই করেছে। মুক্তিযুদ্ধের যেমন অর্জন রয়েছে তার অনেকগুলো খারাপ দিকও রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল সংবিধানে সবার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের সকল জনগণ বাঙালি বলিয়া পরিচিত হইবে এই অংশ। জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশে আমরাও তো চেয়েছিলাম সকলে সকলের অধিকার নিয়ে মর্যাদার সহিত বসবাস করবে কিন্তু দেশে যে মব সংস্কৃতি চলছে আমি এই সরকারকে প্রশ্ন করতে চাই আপনারা করছেনটা কি?

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম তার বক্তব্যে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে একটি সরকার গঠন করা হয়েছে কিন্তু এই সরকারের আমলেই আদিবাসী মানুষের উপর ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা করা হয়। আদিবাসীরা বেশি কিছু চাচ্ছে না, তারা তাদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে চাচ্ছে। আগের স্বৈরাচার সরকার আদিবাসী উচ্চারন করতে বাধাঁ দিয়েছিল বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। কিন্তু আমরা এখনো এই সরকারের প্রতি আস্থা রাখে আহ্বান জানাতে চাচ্ছি, আদিবাসীদের ন্যায্য দাবির কথা শুনুন, কেন আদিবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে!

এছাড়া বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অসিত কুমার বাগদি, ফ্লোরা বাবলি তালাংসহ অন্যান্য রা।

গণসমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মারমা স্টুডেন্টস কাউন্সিল, ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরাম, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি, গানের দল সমগীত, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, গারো স্টুডেন্টস ফেডারেশন, এএলআরডি, বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন সহ বিভিন্ন আদিবাসী ও প্রগতিশীল ছাত্র, নাগরিক ও সামাজিক সংগঠন।

Back to top button