সামাজিক প্রেক্ষাপটে আদিবাসী নারীরা খুবই প্রান্তিক অবস্থায় বসবাস করছে। আদিবাসী নারীরা জাতিগত, লিঙ্গগত, ভাষাগত, ধর্মীয় এবং শ্রেণীগত কারণে বৈষম্যের শিকার হয়। এসবের কারণে বাংলাদেশের আদিবাসী নারীরা বিভিন্নভাবে মানবাধিকার লংঘনের শিকার হচ্ছে। সম্পত্তিতে আদিবাসী নারীদের অধিকার না থাকলেও ভূমির কারণে আদিবাসী নারীরাই বেশি সহিংসতার শিকার হয়। চলতি বছরে ২০ জনের অধিক আদিবাসী নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
রাজধানীর আসাদগেটে ওয়াইডব্লিউসিএ তে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক কর্তৃক আয়োজিত “বাংলাদেশের আদিবাসী নারীদের সার্বিক পরিস্থিতি ও করনীয়” শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সদস্য মনিরা ত্রিপুরার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য শেফালিকা ত্রিপুরা, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের আইনী সহায়তা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক রেখা সাহা, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের পরিচালক শাহনাজ সুমী, এডভোকেসি এন্ড কমিউনিকেশন, ব্লাস্ট এর পরিচালক মাহবুবা আখতার, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের ক্রীড়া, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক উজ্জ্বল আজিম এবং এএলআরডির প্রোগ্রাম ম্যানেজার সানজিদা খান রিপা। স্বাগত বক্তব্য দেন হ্লাম্রাচিং চৌধুরী রনি এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুজয়া ঘাগ্রা।
আলোচনা সভায় আদিবাসী নারীর সকল মানবাধিকার নিশ্চিত করা, আদিবাসী নারী ও শিশুর উপর সহিংসতা বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন ও নিরাপত্তা জোরদার করাসহ বিভিন্ন সুপারিশমালা তুলে ধরা হয়।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক ফাল্গুনী ত্রিপুরা।