অন্যান্য

২০ মে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

পার্বত্য চট্টগ্রামের লড়াকু ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ২০মে ২০১৬ শুক্রবার। পাহাড়ের অন্যতম লোহমর্ষক হত্যাযজ্ঞ লংগদু গণহত্যা সংঘটিত হয় ৪ মে ১৯৮৯ সালে। তারই প্রতিবাদে সামরিক স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ২০ মে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের আবির্ভাব। জম্মলগ্ন থেকেই পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রাধিকার আন্দোলনে জোড়ালো ভূমিকা রেখে চলেছে।
ভরদ্বাজ মুনি, নিতীশ. ক্যজাই, অমর বিকাশ, রূপম, সুকেশ, মনতোষসহ অসংখ্য জীবন উৎসর্গকারী বীরযোদ্ধাদের তাজা রক্তের প্রবাহকে সাথে নিয়ে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছে। জীবন বলিদানের সুমহান মন্ত্রে উজ্জীবিত তারুণ্যের সমাবেশ ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে সংগঠনটি নিরলসভাবে নিজেদেরকে নিবেদিত রেখেছে।
‘শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষে অসহযোগ আন্দোলনে ছাত্র জনতা ঝাঁপিয়ে পড়ো‘ -এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সংগঠনটি তাদের ২৭ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে। রাঙ্গামাটি জিমনেসিয়াম মাঠ প্রাঙ্গনে ২০ মে সকাল ১০টায় ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। বিকেল ৫টায় সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। ২১ মে সংগঠনটির ২১তম কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি শ্রী জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ছাত্র-গণ জমায়েতে জাতীয় ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদসহ জনসংহতি সমিতি, হিল উইমেন্স ফেডারেশন, মহিলা সমিতি ও যুব সমিতির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি বাচ্চু চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানমালা সফল করার জন্য ছাত্র-জনতাকে আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সাথে সর্বস্তরের জুম্মজনগণ, শুভাকাংখী ও শুভানুধ্যায়ীদের ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন।

Back to top button