জাতীয়

জাতীয় নাগরিক কমিটির নতুন সদস্য হলেন প্রিয়াসী চাকমা, রয়েছেন আরো ছয় সদস্য।

আজ ৩ আগস্ট, ২০২৪, বৃহস্পতিবার জাতীয় নাগরিক কমিটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের ও নাগরিক কমিটি বর্ধিত প্রসঙ্গে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। উক্ত কমিটিতে প্রিয়াসী চাকমা সহ আরো ছয় জন নতুন সদস্য হলেন। প্রিয়াসী চাকমা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী। জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়:

বিগত ৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গণঅভ্যুত্থানের এক দফা তথা ’ফ্যাসিবাদি ব্যবস্থার বিলোপ এবং নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নাগরিক কমিটি আত্মপ্রকাশ করেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি’র প্রাথমিক কাজ হিসাবে ঘোষিত ৮ দফা কর্মসূচির ২য় দফা তথা ‘ছাত্র-জনতার উপর সংঘঠিত নির্মম হত্যাযজ্ঞে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা’- বাস্তবায়নে জাতীয় নাগরিক কমিটি ছাত্র- নাগরিকের অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান শুরু করেছে। ছাত্র-নাগরিকের অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়া দুইজন শহীদের পরিবার আজ জাতীয় নাগরিক কমিটি’র মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা শহীদ পরিবারদ্বয়কে মামলা দায়ের প্রক্রিয়ায় আইনি সহায়তা প্রদান করেছি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে বিগত ১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলাবস্থায় যাত্রাবাড়ি থানাধীন কুতুবখালী কাজলা পেট্রোল পাম্পের পাশের পকেটগেটে ফ্যাসিবাদের দোসরদের গুলিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার দনিয়া কলেজের বিএ (পাস) কোর্সের ছাত্র শহীদ সাকিব হাসান এবং বিগত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর শহরের উত্তর তেমুহনি এলাকায় গুলিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র শহীদ ওসমান পাটওয়ারী ওরফে ওসমান গণি হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে আজ জাতীয় নাগরিক কমিটি’র তত্ত্বাবধানে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ এর ৩(২)(এ), ৩(২)(গ), ৩(২)(এইচ), ৪(১) এবং ৪(২) ধারা অনুযায়ী গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। শহীদ সাকিব হাসানের বাবা মোঃ মর্তুজা আলম এবং শহীদ ওসমান গণির বাবা মোঃ আব্দুর রহমান পৃথক মামলা দু’টি দায়ের করেছেন।

একইসাথে বলা হয়, যেসব শহিদের পরিবার এখনো আইনি লড়াইয়ে যুক্ত হয়নি কিংবা বিভিন্ন কারণে মামলা দায়ের করতে পারেনি, তাদেরকে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করতে আহ্বান জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি। আমরা মামলার তদন্তের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবো এবং বিচার শুরু হওয়ার পর আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে শহিদ পরিবারকে আইনি প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। এছাড়াও, এই অভ্যুত্থানে আহতদের পক্ষে মামলা দায়ের, পরিচালনা ও বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকার মাধ্যমে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় যে, কেবল জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহিদ ও আহত যোদ্ধাদেরই নয়; বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদি আমলে নানা সময় যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন এবং স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়-মাদরাসাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষার্থী অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাদেরকে ন্যায়বিচার প্রাপ্তির লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ‘প্রো-বোনো সার্ভিস’ তথা বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করবে। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অভ্যুত্থানের শহিদদেরকে প্রাথমিক সার্বিক আইনি সহায়তা প্রদান করবে। সেই লক্ষ্যে নিম্নোক্ত ব্যক্তিগণকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যভুক্ত করা হয়েছে। যথাঃ-

১। মুস্তাফিজুর রহমান মুকুল

২। জহিরুল ইসলাম মুসা

৩। মনজিলা ঝুমা

৪। হুমায়রা নূর

৫। সাকিল আহমাদ

৬। ফাতিমা আক্তার (তাহসিন)

৭। প্রিয়াসী চাকমা।

 

Back to top button