ড. জিনবোধি ভিক্ষুকে হেনস্থার প্রতিবাদে চবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি বিভাগের অধ্যাপক ও একুশে পদক প্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. জিনবোধি ভিক্ষুকে হেনস্থার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ১৩ মার্চ (বুধবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ছাত্র পরিষদ, বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থী ও পালি বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দের উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গত ৮ মার্চ সকালে নগরের নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহারে ড. জিনবোধি ভিক্ষুর ওপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চবি বৌদ্ধ ছাত্র পরিষদের সভাপতি পার্থ প্রতিম বড়ুয়া এবং সঞ্চালনা করেন পালি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী নিরোধানন্দ ভিক্ষু।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ, চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক অন্বেষ চাকমা বলেন, ” ড: জিনবোধি ভিক্ষু একজন শিক্ষানুরাগী সম্মানীয় ব্যক্তি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার জন্য কাজ করছেন। তাঁর সঙ্গে সংঘটিত অপ্রীতিকর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। সকলের নিকট সম্মানিত ব্যক্তির সঙ্গে যাতে এরকম গর্হিত কাজের পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
পালি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রিয়া বড়ুয়া বলেন, একজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে কীভাবে সম্মান করতে হয় সেটা আমরা নিশ্চয় জানি। তিনি শুধু ধর্মীয় গুরুই নয়, তার মতো গুণী মানুষ কমই জন্মায়। তিনি ৩৭টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। স্কুল, কলেজসহ তার উদ্যােগে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সামাজিকভাবে, রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের বৌদ্ধদের প্রতিনিধিত্ব করেন। এমন ব্যক্তিকে আমরা প্রাপ্য সম্মান দিতে পারিনি।
চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ প্রতিম বড়ুয়া বলেন, আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী ব্যক্তির সঙ্গে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা এই ঘটনায় জড়িতদের অতি দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আসাদ, সেকশন অফিসার নিবারণ বড়ুয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম রাসেল, আবরার শাহরিয়ার ও মিজান শেখ, সাবেক উপমানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এস এম কাইসার, বিশ্ববিদ্যালয়ের বৌদ্ধ ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নবোদয় চাকমা ও সহসাধারণ সম্পাদক সৌরজিত বড়ুয়া প্রমুখ।


