জাতীয়

পাহাড়ে সেটলার বাঙালিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে খারাপ উদ্দেশ্যে: প্রেসক্লাবের আলোচনায় বিচারপতি মো: নিজামুল হক

আইপিনিউজ ডেক্স(ঢাকা): ১৯৭৯ সাল থেকে পাহাড়ে যে বাঙালি সেটলারদেরকে নেয়া হয়েছে, তাদেরকে কার জায়গায় বসানো হয়েছিল। পাহাড়ীদের জায়গায় ভাগ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু যাদেরকে নেয়া হয়েছে তার পেছনে উদ্দেশ্যই ছিল খারাপ। উদ্দেশ্য ছিল পাহাড়ীদের নাম্বার কমিয়ে দিয়ে বাঙালিদের নাম্বার বাড়িয়ে দেয়া বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: নিজামুল হক নাসিম। আজ ৮ এপ্রিল শনিবার, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে দেশবাসীর দায় ও করণীয়’  শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হল রুমে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন এর আয়োজনে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত প্লাটফর্মের যুগ্ম সমন্বয়কারী ও মানবাধিকার কর্মী জাকির হোসেন এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আলোচক হিসেব বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: নিজামুল হক নাসিম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান, ডাকসু’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা: মুশতাক হোসেন প্রমুখ। নির্ধারিত আলোচনার পূর্বে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন এর যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. খায়রুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চুক্তিতে ৪ টি খন্ড ও ৭২ টি ধারা। এই ২৫ টি বছরে তার কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তার প্রেক্ষিতে দুটি পক্ষের বক্তব্যের মধ্যে পার্থক্য আছে। সরকার বলছে এই চুক্তির অধিকাংশ ধারায় বাস্তবায়ন হয়েছে। অপরদিকে জনসংহতি সমিতি বলছে পার্বত্য চুক্তির ৭২ টি ধারার মধ্যে এ পর্যন্ত মাত্র ২৫ টি ধারা সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয়েছে এবং ১৮ টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে। অবশিষ্ট ২৯ ধারা সম্পূর্ণ অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে। কাজেই এই দুই বক্তব্যের মধ্যে বিরাট পার্থক্য আছে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চুক্তির (ক) খন্ডের ৪ ধারায় বলা হয়েছে যে, এই চুক্তি উভয়পক্ষ কর্তৃক সম্পাদিত ও সই করবার তারিখ হতে বলবৎ থাকবে। বলবৎ হবার তারিখ হতে এই চুক্তি অনুযায়ী উভয়পক্ষ হতে সম্পাদনীয় সকল পদক্ষেপ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই চুক্তি বলবৎ থাকবে। কাজেই এই চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ যেহেতু  এখনো বাস্তবায়িত হয় নাই, কাজেই এই চুক্তি এখনও বলবৎ  আছে।

বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: নিজামুল হক নাসিম তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন,  আমি মনে করি, পার্বত্য চুক্তি নিয়ে পাহাড়ের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। পার্বত্য চুক্তি নিয়ে পাহাড়ের মানুষের দৃষ্টি ভঙ্গি এখনও তাই। এই চুক্তি নিয়ে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও মৌলিক কোনো বিভেদ নাই। পাহাড়ের সকল মানুষ চুক্তি বাস্তবায়ন চায়।  

তিনি আরো বলেন, আমি আমার বন্ধু আনোয়ারুল হুক (পার্বত্য ভ‚মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান)কে জিজ্ঞেস করেছিলাম কমিশনের খবর কী। তিনি বলেছিলেন, পাহাড়ে তো যেতেই পারি না। গেলেই হরতাল ডাকে, অবরোধ দেয়। আমি তাকে পরামর্শ দিয়েছিলাম অন্তত মিটিংগুলো যেন ঢাকায় করে। আমি জানিনা, তারা করতে পারবে কী না।      

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ বলেন, আমরা যে এটাকে শান্তি চুক্তি বলেছি, তার মানে এর আগে একটা অশান্তি ছিল। কেন অশান্তি ছিল কারণ তৎকালীন সরকার পাহাড়ে বাঙালিদের মেজোরিটি বানিয়ে সেখানে পাহাড়ীদেরকে প্রান্তিক করে দুই জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটা সংঘাত বাধিয়ে দেওয়া। এই সংঘাত থেকে মুক্তির জন্য যে চুক্তি হয়েছিল তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।

 তিনি আরো বলেন, চুক্তির ২৫ বছর পর এখন আমরা দেখছি পাহাড়ে আরো সংঘাত বেড়েছে। পাহাড়ী-পাহাড়ী’র মধ্যে সংঘাত বেড়েছে, পাহাড়ী- বাঙালিদের মধ্যে বিরোধ বেড়েছে। এখন আবার দ্বন্ধ বেড়েছে। এই দ্বন্ধ নিরসনে ছয়টি সুপারিশ করবো। প্রথমত, গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু নির্বাচন করে প্রকৃত যারা প্রতিনিধি আছে তাদের বের করে নিয়ে আসা। দ্বিতীয়ত, পাহাড়ী এলাকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও শিল্পের সুষম বিকাশ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে। (উন্নয়নের নামে সরকার বলৎকার করছে। তৃতীয়ত, ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষার বিকাশ সাধন, চতুর্থত, ভূমি মালিকানা ও ব্যবহারে নীতিমালা প্রণয়ণ করতে হবে, পঞ্চমত, ভারত প্রত্যাগত শারণার্থী ও শান্তিবাহিনীর সদস্যদের পুরর্বাসনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত পেশাজীবিদের একাংশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যাটা শুধুæ পাহাড়ের সমস্যা নয়। এটা একটা জাতীয় সমস্য্।া  এই সমস্যার নিষ্পত্তি রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। তার জন্য স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। এর জন্য যদি নাগরিকদের মধ্যে তাড়না তৈরী করা না যায় তাহলে এই চুক্তির বাস্তবায়নে চাপ তৈরী হবে না।

তিনি আরো বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পূর্বে নেগোশিয়েশন প্রসেসে বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগ এর মত বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো ছিল। পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকারই এই চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। কিন্তু যারা নেগোশিয়েশন প্রসেসে ছিল তারাই আজকে সরকার গঠন করছে কিংবা প্রধান বিরোধী দলের ভ‚মিকায় আছে।  এই চুক্তি যদি বাস্তবায়ন করতে আরো দেরি করি, তবে দেশের জন্য একটা ভয়াবহতা তৈরী হবে। পাহাড় এখন ক্রমাগত ’৯৭ পূর্ববর্তী ধারায় ফিরে যাচ্ছে। তার জন্য পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করা অতীব জরুরী এবং তার জন্য দেশবাসীকে সংগঠিত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নানা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে একটি হল ১৯৭২ সালের সংবিধানের মৌলিক সীমাবদ্ধতা। এ্ই দেশটা যে বহু সংস্কৃতির দেশ, দেশের যে বহুত্ববাচকতা। এই ‘ডাইভার্সিটি’র স্বীকৃতি মেলেনি সেই সংবিধানে। ২০১৯ এ বাঙালি ছাড়াও ৫০ টি জাতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। এটা কেন ১৯৭২ সালে হয়নি কেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে অন্যতম সীমাবদ্ধতা হল এক কেন্দ্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কাঠামো। প্রশাসনিক কাঠামো যদি বিকেন্দ্রীকরণ না হয় তাহলে সেটা গণতন্ত্রায়ণের জন্যও সমস্যা। পার্বত্য চুক্তিতে যে জেলা পরিষদ ও আঞ্চলিক পরিষদের কথা বলা হয়েছে সেটা বিকেন্দ্রীকরণের ক্ষেত্রে পুরো দেশের জন্য একটা পথিকৃৎ হতে পারে। আজকে ২৫ বছর হয়েছে গেছে। কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী তিন পার্বত্য জেলা ও আঞ্চলিক পরিষদকে ক্ষমতায়ন করার জন্য এখনও কোনো বিধিমালা তৈরী করা হয়নি। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সদ্চিছার চেয়ে আমলাতান্ত্রিক অসদিচ্ছায় আরো বেশী প্রবল বলেও মনে করেন এই আদিবাসী গবেষক।

এএলআরডি’র নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা বলেন, জাতিসংঘের একটি পরিসংখ্যান আছে যে, পুরো পৃথিবীতে ৫ ভাগ আদিবাসী। এই ৫ ভাগ আদিবাসীই পুরো পৃথিবীর ৮০ ভাগ জীব বৈচিত্র্য রক্ষায় ভ‚মিকা রাখছে। কাজেই পুরো পৃথিবী রক্ষার জন্য এই আদিবাসীদেরকে রক্ষা করতে হবে। উন্নয়নের জন্য যে ধ্বংস যজ্ঞ চলছে তার হটস্পট হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। এই পাহাড়, বন না থাকলে আদিবাসীরা তো থাকবেই না, আমাদেরও যাওয়ার জায়গা থাকবে না।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য চুক্তি অনুায়ী আঞ্চলিক পরিষদ হয়েছে। এই পরিষদের বিধিমালা প্রণয়নের কথা মন্ত্রণালয়ের। আমার জনা মতে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ নিজ উদ্যোগে বিনা পয়সায় এই বিধিমালা তৈরী করে মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে এই বিধিমালা পাস হচ্ছে না। তাছাড়া চুক্তিতে বলা হয়েছে পাহাড় সম্পর্কিত যেকোনো আইন প্রণয়নে আঞ্চলিক পরিষদের পরামর্শ নেওয়া হবে। কিন্তু অনেকগুলো আইন আছে সেগুলো আঞ্চলিক পরিষদ জানেই না।

পাহাড়ে যত বেশি আর্মি ক্যাম্প ও ক্যান্টনমেন্ট কমবে তত বেশি শান্তি ফিরবে দাবী করে তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে সিভিল প্রশাসন কাজ করতে পারে না। পাহাড়ে কাজ করে সামরিক প্রশাসন। এটা শুধু অন্যায় না। এটা অসাংবিধানিক এবং অঘোষিত। যদি কোনো জরুরী অবস্থা তৈরী হয় তখন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকার সামরিক আইন ঘোষণা করতে পারে। কিন্তু পাহাড়ে তো অঘোষিতভাবেই এটা চলছে। এটা আমাদের দেশের গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি। কাজেই চুক্তি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া থেকে যতই আমরা দূরে থাকবো এসব ঘটনা অবাধে ঘটতেই থাকবে।

কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক শর্তগুলোয় বাস্তবায়ন হয়নি। বলা হয়েছিল পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল ‘উপজাতি’ অধ্যুষিত অঞ্চল হবে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন বাঙালি সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়ে গেছে। কাজেই চুক্তি করে যারা চুক্তি ভঙ্গ করেছে তাদের বিরুদ্ধে এই ধরণের মত বিনিময় সভা করে খুব একটা লাভ হবে না। আজকেও পত্রিকায় এসেছে পাহাড়ে সাতজন মানুষ খুন হয়েছে। বলা হচ্ছে কুকী-চিন নামের একটি ‘জঙ্গি গোষ্ঠী’র সাথে সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু এই সংঘাতের পেছনে সরকারের কোনো গোষ্ঠী যে জড়িত তা যদি আমরা বুঝতে না পারি তাহলে চুক্তি বাস্তবায়নের সীমাবদ্ধতাগুলো চিহ্নিত হবে না।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের প্রধান সমস্যা ভ‚মি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য একটি ভ‚মি কমিশন গঠিত হয়েছে। কিন্তু এই কমিশন একটি সভা করতে পারে না। সভা ডাকলে হরতাল, অবরোধ ডাকা হয়। কাজেই বুঝতে হবে, সরকার চুক্তি বাস্তবায়নে তার দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে সড়ে গেছে। কেন শুরুমাত্র আমলাদের দায়ী করবো। পাহাড়ে কত বুদ্ধিজীবি, পেশাজীবি, রাজনৈতিক নেতা জমি কিনে ভ‚মি দখল করছে তারও তালিকা করা জরুরী। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে বলেও মনে করেন তিনি। বাঙালি ‘রাষ্ট্রের অনাচারের’ বিরুদ্ধে পাহাড়ীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করারও আহŸান জানান এই সাংবাদিক।  

ডাকসু’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা: মুশতাক হোসেন বলেন, পাহাড়ে চুক্তি হয়েছে। কিন্তু পাহাড়ে ভ‚মি হারানো আদিবাসীরা কেন তাদের জমি ফেরত পাবে না। সেখানে কেন পাহাড়ীদেরকে উচ্ছেদ করে বাঙালিদেরকে প্রতিস্থাপন করা হবে। আমার টাকা থাকলে যে ইচ্ছামত জমি কিনতে পারবো তা কীভাবে হবে। কুমিল্লার মানুষ যদি বরিশালের সমস্ত জায়গা কিনে নেয় তখন কী বরিশালের মানুষ মেনে নেবে? পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করে যদি আরো বিভেদ তৈরী করা হয় তবে সংকট আরো ঘনীভ‚ত হবে বলেও মনে করেন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেশের জনমতকে যদি চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনে সম্পৃক্ত করতে না পারি তাহলে চুক্তি বাস্তবায়ন করাটা কঠিন বলেও মনে করেন ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ডা: দিবালোক সিংহ বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ মানুষ দরিদ্র ও মেহনতি। তাছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ মেহনতী ও দরিদ্র। অন্যদিকে পাহাড়ে যেমন নিপীড়িত আদিবাসী আছে তেমনি সমতলেও নানাভাবে বঞ্চিত আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মানুষ আছে। এই সমস্ত মেহনতী ও দরিদ্র মানুষদের লড়াইয়ের মধ্যে একটা সংযোগ তৈরী করতে হবে। তার জন্য  বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে আরো গণতান্ত্রিক করার জন্য দেশে যে স্বৈরচারী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমাদের মেহনতী মানুষের আন্দোলনকে আরো জোরদার করতে হবে। পরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন এর যুগ্ম সমন্বয়কারী ও মানবাধিকার কর্মী জাকির হোসেন সমাপনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে উক্ত মতবিনিময় সভার সমাপ্তি হয়।  

Back to top button