অন্যান্য
কবিতাঃ শেষ নস্টালজিয়া- সতেজ চাকমা
দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ
ধু ধু মাঠের অনিঃশেষ প্রান্তসীমা
নীরব বয়ে চলা কাজলঙ
পরানের গহীনে বারংবার বাঁধে প্রেম।
সাদা বকের উন্মত্ত ঝাঁক;
আবার টানে আমায় এই তটে।
বাঁশের ঘন ছায়ার ফাঁকে
লুকোচুরি খেলা ধবল জ্যোৎস্না
হৃদয় জুড়ে আঁকে সম্ভাবনার আলপনা।
কতবার ভেবেছিনু,
আর হল না দেখা!
গহীন পরাণের অনি:শেষ আকুতি
তা কী হতে দেয়?
উদ্দাম ছুটে চলা জুমিয়া কৃষাণী
কাঁধে পিঠে চাষের সমস্ত যুগল
শীতের শিশিরের আড়ষ্টতা ভেঙে-
ঝাপ দেয় জীবনের আয়োজনে।
পিনোনে তাঁর গাঢ় লাল সাবুগী জুড়ে
লেপ্তে থাকা কাজলঙ এর পলি
বিস্তৃত মাঠে লড়াইয়ের যত ছাপ
কখনো কী আমায় ভুলতে শেখায়?
নতুন দিনের তুলি হাতে
পাড়ি দেয়া সে সাহসী অভিযাত্রা?
আজন্ম দেখেছি আমি প্রান্তজনের এ লড়াই
দম বন্ধ রৌদ্রে কাজ ফেলে ছুটে চলা।
এক মুঠো রুজি আর ক্ষীণ ছায়ার খোঁজে-
মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা কুলের আশ্রয়ে
শিজক, নলবন্যে, উগলছড়ি, রূপকারী-
বিস্তৃত এ জনারন্যের যত লড়াই
জীবনের আগামী আয়োজনে
আমি গেঁথে নিলাম মুঠোয় ভরে।