প্যাকেজ পরিকল্পনা ঘোষণা পূর্বক লংগদুতে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৭ জুলাই ২০১৭, শুক্রবার, সকাল ১১টায় বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকার সেগুন বাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোল টেবিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং এর সভাপতিত্বে রাংগামাটি জেলার লংগদুতে পাহাড়ী গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা, অগ্নিসংযোগ এর প্রতিবাদে ও ক্ষতিগ্রস্থদের দ্রুত পুর্নবাসনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেজবাহ কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, পার্বত্য চট্টগ্রাম জুম্ম শরণার্থী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষিত চাকমা বকুল, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সহ সাধারণ সম্পাদক ডা. গজেন্দ্রনাথ মাহাতো প্রমুখসহ আদিবাসী নেতৃবৃন্দ। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পদক দীপায়ন খীসা। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পল্লব চাকমা।
অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল বলেন-১৯৮৯ সাল থেকে আজকে পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা এই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে তারা কি পাহাড়ে আরো শরণার্থী তৈরী করতে চায় ? শান্তি চুক্তির আগ পর্যন্ত স্বাধীন বাংলাদেশে অন্তত ১৩টা গণহত্যা হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। যার একটারও বিচার হয়নি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আজ মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার নজিরও মিলছে বাংলাদেশেই। পাহাড়ীদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ উপস্থিতিতেই। কিন্তু নিরাপত্তাবাহিনী হামলাকারিদের বিরত করছে না। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে পাহাড়ীদের তাড়িয়ে দিয়ে বাইরে থেকে বাঙালি সেটেলার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন ঔপনিবেশ স্থাপনের এক ধরনের প্রচেষ্ঠা এবং ডেমোগ্রাফিক পলিটিক্স। সেখানকার আদিবাসীদের সংখ্যালুঘুতে পরিণত করা। পাকিস্তানি শাসকদের এ ধরনের অপচেষ্ঠার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের উপর এই সাম্প্রদায়িকতাবাদের প্রতি দেশের সচেতন জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। তিনি আরো ২০০৪ সালে মহালছড়ির ১৪টি গ্রামে সাম্প্রদায়িক হামলা ও অগ্নিসংযোগের পর সরকার কথা দিয়েছিল এই ধরনের মানবতা বিরোধী ঘটনা আর ঘটতে দেবেনা। অথচ এই ধরনের ঘটনা এখন ও পর্যন্ত প্রতিনিয়ত ঘটানো হচ্ছে। লংগদুতে যে ঘটনা ঘটেছে তা নিন্দনীয় ও মানবতা বিরোধী। অবিলম্বে লংগদু ঘটনায় দোষীদের বিচার করতে হবে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে।
সঞ্জীব দ্রং বলেন-এদেশে পাহাড়ী আদিবাসী ও জাতিগত সংখ্যালঘুর উপর ভয়াবহ মানবাধিকার লংঘন চলছে। নতুন নতুন সংকট ও মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের উর্দ্ধে এ রাষ্ট্রে সকল মানুষের অধিকার সমান হবে। রাষ্ট্রে গারো, চাকমা, মারমা বা সাঁওতাল হবার কারনে কাউকে বৈষমের শিকার হতে হবে না। বাস্তবে রাষ্ট্র হয়ে গেছে কঠিন ও নির্দয়। সকল নাগরিকের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র আদিবাসীদের থেকে অনেক দূরে চলে যাচ্ছে। লংগদু হামলার ঘটনা পর্যবেক্ষনের পর ১৪ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কিন্তু আজও পর্যন্ত তারা কোন প্রতিবেদন প্রকাশ করেননি। পরিদর্শনের পর তারা আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বক্তব্য এখন পর্যন্ত দেননি। দিন দিন রাষ্ট্র আদিবাসীদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ৪ লক্ষ কোটি টাকার বাজেটের মূল্য দিয়ে কি লংগদু ক্ষতিগ্রস্তদের কিছু হবে। পদ্মা সেতু দিয়ে কি হবে সাঁওতালদের। যারা আজ কঠিন মানবেতের জীবন যাপন করছে। তিনি বলেন, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি রাষ্ট্র সাধারন মানুষের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। রাষ্ট্র জনগণের সাথে অতি চালাকী করছে। পাহাড়ীরা হামলার শিকার হয়েছে। আবার ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাষ্ট্র সঠিক তদন্ত ছাড়াই এ মামলা নিয়েছে। এটা কেমন মানবিকতা ?
রোবায়েত ফেরদৌস-বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর থেকেই সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের উপর নিপীড়ণ চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্র পাহাড়ীদেরকে পর মনে করেন বিধায় তাদের ঘরে আগুন লাগানো সত্বেও স্বাধীন দেশে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এই রাষ্ট্র বাংলাদেশে বসবাসকারী সকল মানুষের তাই পাহাড়ীদেরকেও আপন করতে হবে। ১৯৪৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ৯৮ শতাংশ পাহাড়ী এবং ২ শতাংশ বাঙালির জনবসতি ছিল। বর্তমানে সেখানে বসবাসকারি পাহাড়ী ও বাঙালিদের সংখ্যানুপাত যথাক্রমে ৫৪:৪৬। এই সংখ্যানুপাতের সহজ বিচার-আজ পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী অধিবাসী ডেমোগ্রাফিক রাজনীতির শিকার। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, আমি এই সংখ্যাতাত্বিক রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
সন্তোষিত চাকমা বকুল বলেন-গত ২ জুন পার্বত্য চট্টগ্রামের লংগদু’তে আদিবাসীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকারের বিশেষ আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী। পার্বত্য চট্টগ্রামে আজ পর্যন্ত এই ধরনের কোন ঘটনার বিচার হয়নি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে সেটেলার বাঙালিরা কিভাবে ২০০ টি’র অধিক পাহাড়ীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিতে পারে ? মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি সবিনয় নিবেদন করে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সংঘটিত অমানবিক কার্যক্রমগুলি বন্ধ করতে যেন এগিয়ে আসেন।
দীপায়ন খীসা বলেন-লংগদু হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ীরা দীর্ঘ এক মাস পরেও নিজ বাস্তভিটায় ফিরতে পারেনি। এই বর্ষাকালে তারা মানবেতন দিন যাপন করছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জীবন আজ অনিশ্চিত। সরকারের ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ীরাদের পুনর্বাসনের কোন পরিকল্পনা লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা।
পল্লব চাকমা মূল বক্তব্যে বলেন- গত ২ জুন ২০১৭ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকাল ২টা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেলার লংগদু উপজেলা সদরের তিনটিলা এবং পার্শ্ববর্তী মানিকজোড়ছড়া ও বাত্যা পাড়ায় সেটেলার বাঙালিরা জুম্মদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটসহ সংঘবদ্ধ সাম্প্রদায়িক হামলা চালায়। এ হামলায় তিনটিলায় জুম্মদের ৯টি দোকানসহ কমপক্ষে ১২২টি ঘরবাড়ি; মানিকজোড়ছড়ায় ৬টি দোকানসহ ৮৬টি ঘরবাড়ি এবং বাত্যা পাড়ায় ৪টি দোকানসহ অন্তত ২৮টি ঘরবাড়ি- সর্বমোট ২৩৬টি বাড়ি ও দোকান সম্পূর্ণভাবে ভস্মীভূত হয় এবং ৮৭টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনটিলা এলাকায় গুণমালা চাকমা নামে ৭৫ বছরের এক অশীতিপর বৃদ্ধা পালিয়ে যেতে না পারার কারণে ঘরের মধ্যে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয় এবং হামলাকারীদের মারধরের শিকার হন অনেক জুম্ম গ্রামবাসী। সেটেলার বাঙালিরা ঘরবাড়ি ও দোকানের মূল্যবান জিনিষপত্র ও মালামাল, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী লুট করে নিয়ে যায় এবং শুকরগুলো মেরে ফেলে দিয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া তিনটিলা, মানিকজোড়ছড়া ও বাত্যা পাড়ার প্রায় তিন শতাধিক পরিবার কেউই কোন সহায় সম্পত্তি রক্ষা করতে পারেনি এবং এক কাপড়ে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে কোন রকমে জীবন রক্ষা করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়ীদের তালিকা অনুযায়ী যার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৩ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকা। এছাড়াও প্রাথমিক থেকে কলেজ পড়–য়া ২৫৬ জন ছাত্র/ছাত্রীর পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষা সামগ্রী, পোষাক পরিচ্ছদ সম্পূর্নরুপে অগ্নিসংযোগে পুড়ে যায়।
তিনি বলেন-মোটর সাইকেল চালক নুরুল ইসলাম নয়নকে যে বা যারা অপহরণ ও অপহরণের পর হত্যা করুক না কেন তা নি:সন্দেহে নিন্দনীয় এবং হত্যার সাথে যে বা যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা উচিত। কিন্তু সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে নিরীহ পাহাড়িদের শত শত ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
লংগদুতে পাহাড়িদের ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনার এক মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনো ক্ষতিগ্রস্ত জুম্ম গ্রামবাসীরা স্ব স্ব বাস্তুভিটায় ফিরতে পারেননি। তারা এখনো মানিকজোড়ছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বামে লংগদু নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও তিনটিলা বৌদ্ধ বিহার- এই তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র এবং আত্মীয়-স্বজনের ঘরবাড়িতে গাদাগাদি করে এই বর্ষাকালে মানবেতর জীবন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন এবং স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের বই পুস্তক, স্কুল ড্রেস ও অন্যান্য শিক্ষা সামগ্রী পুড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন-ঘটনার পর পরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং ও সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশাহসহ ১৪ দলের একটি প্রতিনিধিদল, ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী ও আভ্যন্তরীণ জুম্ম উদ্বাস্ত পুনর্বাসন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: কামাল উদ্দিন তালুকদার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকসহ সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থল সফর করেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত পাহাড়িরা তাদের দাবিনামা সম্বলিত স্মারকলিপি এসব মন্ত্রী ও কর্মকর্তাসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্তরা বাড়ি নির্মাণ বাবদ যথোপযুক্ত অর্থ ও কমপক্ষে তিন বছরের রেশনসহ পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও যথাযথ পুনর্বাসন এবং তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জুম্মদের ঘরবাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িতদের অচিরেই গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার দাবি জানিয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৩ জুন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা লংগদুতে ক্ষতিগ্রস্ত জুম্ম গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলতে গেলে সেদিন ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের দাবিনামা আবারো তুলে ধরেন। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ কর্তৃক চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) নেতৃত্বে গঠিত ৫-সদস্য তদন্ত কমিটি গতকাল (৬ জুলাই) লংগদুতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে গণশুনানী করতে গেলে তাদের কাছেও জুম্ম ক্ষতিগ্রস্তরা তাদের দাবিনামা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম ও কাপেং ফাউন্ডেশন নিম্নোক্ত দাবিসমূহ জানানো হয়-
১। ক্ষতিগ্রস্ত জুম্মদের দাবিনামা অনুসারে অচিরেই প্যাকেজ পরিকল্পনা ঘোষণা পূর্বক ক্ষতিগ্রস্ত জুম্মদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে।
২। জুম্মদের ঘরবাড়ি অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে জড়িত সকল ব্যক্তিদের অচিরেই গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।
৩। ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের বই পুস্তক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী প্রদান করে জরুরী ভিক্তিতে তাদের শিক্ষা জীবন সুনিশ্চিত করতে হবে।
৪। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ, দ্রুত ও যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য অবিলম্বে সময়সূচি ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।