শিল্প ও সংস্কৃতি

অশোক কুমার দেওয়ান চাকমা ইতিহাসে নতুন দিকনির্দেশনা দিয়েছেন

অশোক কুমার দেওয়ান চাকমা জাতির ইতিহাস বিশ্লেষণে তাঁর নতুন দিকনির্দেশনার জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। চাকমা জাতির ইতিহাস নির্ণয়ে তিনি যেসব নতুন তথ্য ও তত্ত্ব দিয়ে গেছেন তা আরো এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন আছে এবং উত্তর প্রজন্ম তাঁর কাজকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় অনুষ্ঠিত চাকমা জাতির ইতিহাস বিচার এবং অশোক কুমার দেওয়ান বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। বইটির লেখক প্রিসিলা রাজ।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন নৃতত্ত্ব ও সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক প্রশান্ত ত্রিপুরা। প্রধান অতিথি বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কবি ও সাংবাদিক সোহরাব হাসান এবং ইতিহাসের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল। অতিথি বক্তা হিসাবে কথা বলেন আইনজীবী প্রতিকার চাকমা ও উন্নয়ন সংগঠক ও সমাজকর্মী তন্দ্রা চাকমা।

১৯২৬ সালে রাঙামাটির মগবান গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন অশোক কুমার দেওয়ান। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তবে ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ ইতিহাস ও ভাষা গবেষক। চাকমা ভাষার প্রথম অভিধানটিও তাঁরই রচনা। ১৯৭৮ সালে অশোক কুমার দেওয়ান রাঙামাটি উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসাবে যোগ দেন। এখানে কর্মরত অবস্থায় ইনস্টিটিউটের পত্রিকায় “চাকমা জাতির ইতিহাস বিচার” শীর্ষক প্রবন্ধটি প্রকাশ হয়। ১৯৯১ সালে তাঁর মৃত্যুর পর প্রবন্ধটি বই আকারে প্রকাশ হয়। বইটির দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে।

বক্তারা বলেন প্রিসিলা রাজের বইটি অশোক কুমার দেওয়ান ও চাকমা জাতির প্রামাণ্য ইতিহাস নির্মাণে তাঁর অবদানকে বৃহত্তর পাঠক সমাজের কাছে পরিচিত করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Back to top button